কনের বয়স নিয়ে প্রশ্ন : পালিয়ে গেলো বরযাত্রী

আলমডাঙ্গা তিয়রবিলায় ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বিয়ের পিড়িতে : বাধা দিলো পুলিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। চলছে অতিথি আপ্যায়নের কাজ। এরই মধ্যে বরযাত্রীসহ বর এসেছে। কাজি উপস্থিত। চলছে বিয়ের কাবিন লেখার কাজ। অতঃপর! পুলিশ হাজির। কনের বয়স নিয়ে প্রশ্ন? কনের বয়স কতো? কোন শ্রেণিতেই বা পড়ে। পুলিশের এসব প্রশ্নের উত্তরে সহপাঠীরা জবাব দিলো, তাদের বান্ধবী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ালো পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা গ্রামে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুল হান্নানের মেয়ে খাদিজা খাতুন (১২)। সে তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণি ছাত্রী। পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে ঠিক করা হয় একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের টাকপাড়[ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শরিফুল ইসলামের (১৮) সাথে। গতকাল সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। বরযাত্রী আসামাত্রই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তিয়ারবিলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদ ফোর্স নিয়ে হাজির। কনের বয়স যাচাই বাচাই করে জানা যায়। খাদিজা খাতুন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কতোই বা হবে। ১২ বছরের বেশি নয়। বরের বয়স নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। তার বয়স ১৮ বছর। এ সময় কৌশলে বরসহ বরযাত্রীর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে এএসআই বায়েজিদ কনেপক্ষকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধের পরামর্শ দেন। কনের পিতা আব্দুল হান্নান বাল্যবিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকার করেন।