ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করায় সোনিয়া খাতুন সীমা (১৬) নামে এক যুবতীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের হুদাপুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হতদরিদ্র সীমার পরিবার এমন ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা সুষ্ঠু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অভিযোগে জানা গেছে, দেড় বছর আগে হুদাপুটিয়া গ্রামের শামসুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া খাতুন সীমার (১৬) সাথে প্রতিবেশী মৃত মকবুল হোসের মফুলের ছেলে ডলার হোসেনের (২৫) প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সীমার বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো ডলার। এ সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সীমার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ডলার। এভাবে কেটে যায় এক বছর। একপর্যায়ে সীমা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয় তার। এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। সীমার পরিবার বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তবে ডলালের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা এতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে এলাকায় মাতবররা দফায় দফায় সালিস বিচার করেছেন। তবে কোনো বিচার পাননি সীমার পরিবার। গত ১০ নভেম্বর ডলারের চাচা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তাছিরুল ইসলাম বিয়ে দেয়ার কথা বলে সীমাকে ঝিনাইদহ শহরে নিয়ে যান। সেখান থেকে সীমাকে সাথে নিয়ে ডলারের মা আমেনা খাতুন ও চাচি ফরিদা খাতুন সদর হাসপাতালের নার্স আয়েশা খাতুনের বাসায় যান। এ সময় নার্স আয়েশা গর্ভপাত ঘটনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে সীমার শরীরে জোরপূর্বক ইনজেকশন পুশ করেন ওই নার্স। ঘটনার পরদিন রাতে একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করে সীমা।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দিয়েছে সীমা। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে এলাকার লোকজন ও দু পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের পর আসামিরা বাদীর পরিবারকে হুমকিধামকি দিচ্ছে। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ডলার চাচা তাছিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যাবে।