কিছুতেই কমছে না আলমডাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামের মাদকব্যবসার দোর্দণ্ড প্রতাপ

 

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কিছুতেই কমছে না আলমডাঙ্গায় মাদকব্যবসার দোর্দণ্ড প্রতাপ। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নির্বিঘ্নে চলছে জমজমাট মাদকব্যবসা। শুধু শহর কেন্দ্রিকই আলমডাঙ্গার সর্বগ্রাসী মাদক ব্যবসার রমরমা অবস্থা নয়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে মাদকব্যবসা। নাগদা গ্রামের জামালের বিরুদ্ধে জমজমাট মাদকব্যবসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া খেজুরতলা গ্রামের মতিয়ার, পাঁচলিয়া গ্রামের মুক্তার আলী, বেলগাছি গ্রামের মাদকসম্রাট হিসেবে পরিচিত ছিপা ও মজিদ, হারদী গ্রামের সাধুর স্ত্রী মোহরামি খাতুন, ওসমানপুরের সন্ন্যাসী, নিয়াত আলী, হাটুভাঙ্গার পাঞ্জাব আলী, মুন্সিগঞ্জের আনছার আলী, পুটিমারীর শামীম, রাধিকাগঞ্জের আয়নাল, কোর্টপাড়ার রাজ্জাক, আমিরুল, কলেজপাড়ার রাজ্জাকসহ অনেকেই প্রকাশ্যে রমরমা মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে পুটিমারীর শামীম তো এদতাঞ্চলের সবচে প্রভাবশালী মাদকব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অনেকেই তাকে ফেনসিডিলের গডফাদার বলে অভিহিত করে। বেলগাছি গ্রামের মাদকব্যবসায়ী মজিদের স্ত্রীকে গাঁজাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি গ্রেফতার করে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন। কিন্তু এখন গ্রেফতার হয়নি বেলগাছি গ্রামের সবচে’ বড় মাদকব্যবসায়ী ছিপা।

পাঁচলিয়া গ্রামের মুক্তার প্রকাশ্যে গাঁজা, ফেনসিডিল বিক্রি করলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি কোনো দিন। হাটুভাঙ্গার পাঞ্জাব তো চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। আলমডাঙ্গা-গাংনী-মিরপুর তিন সীমান্তবর্তী মাদকব্যবসা সে নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় বেশ প্রতাপ নিয়েই প্রকাশ্যে সে মাদকব্যবসা করে চলেছে। কোর্টপাড়ার রাজ্জাক চোলাই মদের পাইকারি বিক্রেতা। কুষ্টিয়ার ইবি থানার পাটিকাবাড়িতেও সে চোলাই মদের জলসা বসায় বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও ফেনসিডিলসহ স্টেশনপাড়ার আমিরুলের স্ত্রীকে আটক করলেও বন্ধ হয়নি ব্যবসা। আমিরুল আরো জোরেসরে চালাচ্ছে মাদকব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলে এ রমরমা মাদকব্যবসা।