ঘোলদাড়ি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার চিলাভালকি গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক রমজান আলীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতের কোনো এক সময় তিনি মারা যান। গ্রামবাসী বলেছে, রমজান আলীর গলা, নাকে ও হাতে ক্ষত ও ফোলা চিহ্ন রয়েছে। সকালে নাক-মুখ দিয়ে রক্তও বেরিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে পরিবারের লোকজন বলেছে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকি স্কুলপাড়ার মৃত ভাদু মণ্ডলের ছেলে দরিদ্র ভ্যান চালক রমজান আলী বুধবারেও স্বাভাবিক ছিলেন। দিনের বেলায় স্কুলমাঠে খেলার দর্শকও ছিলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রমজান আলীর লাশ পাওয়া যায়। রমজানের মেয়ে স্কুলছাত্রী রেখা খাতুন বলেছে, তার পিতা ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে আকস্মিক মারা গেছেন। রমজানের স্ত্রী ছালেহা জানান, বাথরুমের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। পরে ঘরে নিয়ে আসি। রমজানের মেয়ে রেখা খাতুন ও স্ত্রী ছালেহার দু রকম কথায় সন্দেহ দেখা দেয়। তাদের কথার গরমিল ও বিস্তর ফারাকই রহস্যকে ঘনীভূত করে তোলে।
এলাকাবাসী জানায়, রমজান আলী একজন ভ্যানচালক। তিনি কখনো কখনো মাদাম-চানাচুরও ফেরি করে বেচে বেড়ান। গ্রামবাসীর অভিযোগ, রমজানের স্ত্রী ও মেয়েদের চরিত্র ভালো নয়। তাদের বাড়িতে বাইরে থেকে কোনো অপরিচিত লোক এলে তা ভালো চোখে দেখতেন না রমজান আলী। এসব কারণে রমজানের ওপর রাগ ছিলো স্ত্রী ও মেয়েদের। তাছাড়া বুধবার রাতে বাড়িতে অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছিলো কি না তাও খতিয়ে দেখার দাবি গ্রামবাসীর। তাদের ধারণা রমজান আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোলদাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে যান। তবে যে অভিযোগই থাকুক না কেন ময়নাতদন্ত ছাড়াই গতকাল দাফন করা হয়েছে রমজান আলীর লাশ।