অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই : গরুমালিক ও কসাইয়ের জেল-জরিমানা

পৌর কাউন্সিলর ও সেনেটারি ইন্সপেক্টরের পদক্ষেপে অল্পের জন্য শরীরে ক্ষতরোগ থেকে রক্ষা পেলেন জীবননগরে অনেকে

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর পৌর এলাকায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত একটি গরু জবাই করে বিক্রির অপচেষ্টাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু বিক্রি করায় গরু মালিক লাভলু মিয়া ও গরু জবাই করে বিক্রির অপচেষ্টার অভিযোগে মাংস ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ দণ্ডাদেশের আদেশ দেয়া হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জীবননগর বাজারের মাংসব্যবসায়ী আক্তার পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে রোগাক্রান্ত একটি গরু পৌর পশু জবাইখানায় নিয়ে জবাই করে। রোগাক্রান্ত এ গরু জবাইয়ের খবর পেয়ে পৌর কাউন্সিলর নবী শাহ্, কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন, পৌর সেনেটারি ইন্সপেক্টর জাহিদুর রহমান ও টিকাদান সুপারভাইজার জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জবাইকৃত গরুটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও নুরুল হাফিজ সেখানে উপস্থিত হন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অ্যানথ্যাক্স আক্রান্ত গরুর বিক্রেতা উপজেলার সুটিয়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে লাভলু মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মাংসবিক্রেতা শহরের দৌলৎগঞ্জপাড়ার গোলাপ শাহ ছেলে আক্তার হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস নাড়াচাড়া ও খেলে মানুষও অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়। জীবননগর পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর ও সেনেটারি ইন্সপেক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের তড়িত পদক্ষেপে এ দফা এলাকার অনেকেই অ্যানথ্রাক্স থেকে রক্ষা পেলেন।

Leave a comment