বাল্যবিয়ের বলি হলো কার্পাসডাঙ্গার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া

জোর করে বিয়ে দেয়া ৯ মাসের মাথায় আত্মহত্যা

 

ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পূর্বপাড়ার দরিদ্র সেলুন ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৪) কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। মাস নয়েক আগে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে একই এলাকার কুতুবপুর গ্রামে তার বিয়ে দেয়া হয়। সুমাইয়া লেখাপড়া করতে চাইলেও তার লেখাপড়া শেষ হয় না। বিয়ের পর সে আর শ্বশুরবাড়ি যেতে চায় না। দিন দশেক আগে সুমাইয়ার মা-বাবা সুমাইয়াকে মারধর করে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এলাকার কেউ কেউ জানিয়েছেন, কুতুবপুর কাটা বাগানপাড়ার গোলাম হোসেনের ছেলে সুমাইয়ার স্বামী রসুল (২০) একজন বাকপ্রতিবন্ধী। সে সুমাইয়াকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। কোনো কূল-কিনারা না পেয়ে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুমাইয়া স্বামীর ঘরের আড়ায় দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এলাকাবাসী বলেছে, সুমাইয়ার বাল্যবিয়ে না দিলে সে অকালে ঝরে পড়তো না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে ভুক্তভোগীরা আশা করে।