স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জ ফিল্ডে প্রশিক্ষণকালে গ্রেনেড বিস্ফোরণে রামগড় ১৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম (৫০) ও সিপাহী মো. হাসান (৪০)। আবুল কাশেমের বাড়ি নোয়াখালী ও হাসানের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। আহতরা হলেন- মাটিরাঙ্গার পলাশপুরস্থ ৪০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মেডিকেল অফিসার ডা. ক্যাপ্টেন তাইফুল, রামগড় ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মাসুদ রানা (৫৫), ল্যান্স নায়েক ছামেরুল (৩৫) ও ল্যান্স নায়েক সিরাজ (৩৫)। বার্ষিক গ্রেনেড ফায়ারিং অনুশীলন করতে গতকাল রোববার সকালে রামগড় ১৬ ব্যাটালিয়ন থেকে বিজিবির দলটি খাগড়াছড়ি যায়। রামগড় ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেদ বিন ইউছুফ ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ারিং ফিল্ডে উপস্থিত রামগড় ১৬ বিজিবি হাবিলদার জসিম উদ্দিন জানান, সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, সিপাই হাসান ৮৪ হর্স পাউয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি গ্রেনেডের পিন খোলার সময় হঠাৎ গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে হাসানের একটি হাত উড়ে যায়। এ সময় হাসান ও তার পাশে দাঁড়ানো তদারককারী কর্মকর্তা নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ফায়ারিং ফিল্ডে অবস্থানকারী ডা. ক্যাপ্টেন তাইফুল, ল্যান্স নায়েক মাসুদ রানা, ল্যান্স নায়েক ছামেরুল ও ল্যান্স নায়েক সিরাজ আহত হন। আহতদের সামরিক হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুঘর্টনার সাথে সেনাবাহিনী ও বিজিবির
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। হতাহতের খবর পৌঁছামাত্র রামগড়স্থ ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুঘর্টনাস্থলে উপস্থিত রামগড়স্থ ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেদ বিন ইউছুফ হতাহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।