চুয়াডাঙ্গা পান্না সিনেমাহল প্রাঙ্গণের আয়োজন হয়ে উঠেছে সার্বজনীন

স্টাফ রিপোর্টার: বাঁশির সুরসহ বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চলছে শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ। পান্না সিনেমাহল প্রাঙ্গণে আয়োজিত ৩য়তম ১৬ প্রহরব্যাপি অখণ্ড মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানে উপচেপড়া ভিড়ের মাঝে ফুটে উঠেছে উৎসবের আমেজ। অপরদি দিকে হরেনাম হরেনাম হরেনাম কেবলম…. সুরে মহানামযজ্ঞ, অপরদিকে হরদম অপ্যায়ন। খোলামেলা পরিবেশে গড়ে উঠেছ সার্বজনীন। আজ সোমবার পদাবলী কীর্তন, মদ্যাহে ভোগ আরতি, প্রসাদ বিতরণ ও ভক্ত সেবার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে।

এদিকে গতকাল রোববার জেলা জজ বিপ্লব গোস্বামী, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামন শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল সিদ্দিকী চুয়াডাঙ্গা ১৬ প্রহরব্যাপি প্রহর অখণ্ড শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান পদির্শন করেছেন। এ সময় তাদেকে স্বাগত জানান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। উপস্থিত রিপনুল হাসান, ওয়াসকুরুনী টিটো, আলমগীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, বর্তমান সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম পারভেজ সজল, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানিফ, প্রচার সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকি প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, অশান্ত পৃথিবীর অসীন সঙ্কেত শঙ্কিত করে তুলেছে সবাইকে, হিংসা-বিদ্বেষ আর সংঘাতের প্রতিচ্ছবি সর্বত্রই। অধর্ম আর কুসংস্কারের অনিশ্চিত অন্ধকারে নিমজ্জিত আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত। তাই যন্ত্রণাক্লিষ্ট ও ত্রিতাপদদ্ধ এ অসহায় মানুষের উদ্ধারকল্পে মুক্তির দূতরূপে আর্বির্ভূত হয়ে মহাবতারী শ্রী শ্রী গৌর সুন্দর লীলাচ্ছলে বিলিয়ে ছিলেন বিশ্ব শান্তি ও মুক্তির মহামন্ত্র শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন। দেশ মাতৃকা ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় চুয়াডাঙ্গায় পান্না সিনেমাহল প্রাঙ্গণে তৃতীয়তম বার্ষিকী ১৬ প্রহর ব্যাপি প্রহর অখণ্ড শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে রাত-দিন দশনার্থীদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। গত শনিবার অরুণোদয় মহানমা সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রোববার ব্রহ্মমুহূর্ত মহানাম সংকীর্তন আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার সূর্যাদয়ে প্রস্তাবিত যজ্ঞ বিশ্রাম, সকালে নগর কীর্তন, ১০টায় পদাবলী কীর্তন, মধ্যাহ্নে ভোগ আরতি, প্রসাদ বিতরণ ও ভক্তসেবা। সকল আয়োজনে সকলকে বিনয়ারত কৃপাপ্রার্থনা করেছেন আগরওয়ালা পরিবারবর্গ। মহানাম সুধা পরিবেশনায় রয়েছে পাংশার নিতাই গৌর সম্প্রদায়, যশোরের রাম মন্দির সম্প্রদায়, বাগেরহাটের মহামায়া সম্প্রদায়, যশোর নওয়াপাড়ার মা প্রতিমা সম্প্রদায়, যশোরের গৌরভক্ত সম্প্রদায়, ঝিনাইদহের রাজলক্ষ্মী সম্প্রদায় ও চুয়াডাঙ্গার সনাতন সৎ সংঘ সম্প্রদায়।