চট্টগ্রামে জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

স্টাফ রিপোর্টার: জিম্বাবুয়ের সামনে অসম্ভব লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত রেখেছিলো বাংলাদেশ। হার এড়াতে প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন অতিথি ব্যাটসম্যানরা; কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিন জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিনে গড়ানো তৃতীয় টেস্ট ১৮৬ রানে জেতে স্বাগতিকরা। এই জয়ে প্রথমবারের মতো ৩-০ ব্যবধানে কোনো সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

ঢাকা টেস্ট ৩ উইকেটে ও খুলনা টেস্ট ১৬২ রানে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। এই প্রথম টানা তিনটি টেস্ট জিতল দলটি। গতকাল রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। অতিথিদের ইনিংস দুই সেশনের মধ্যে গুটিয়ে দেয় বোলাররা। দিনের শুরুতেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে আউট করে দ্বিতীয় উইকেটের প্রতিরোধ ভাঙেন শুভাগত হোম চৌধুরী। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হ্যামিল্টন। হ্যামিল্টন বিদায়ে ভাঙে ৯৩ রানের জুটি। আগের দিনের অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকেও ফেরানো কৃতিত্ব শুভাগতর। ফুলটস বল তুলে মারতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত হন রাজা। দ্বিতীয় ঘণ্টায় অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর ও অলরাউন্ডার এল্টন চিগুম্বুরাকে ফেরান প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া জুবায়ের হোসেন। পয়েন্টের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের ক্যাচে পরিণত হন টেইলর। এই টেস্টে দুবারই জুবায়ের হোসেনের শিকারে পরিণত হলেন তিনি। এর পর স্লিপে ইমরুল কায়েসের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন প্রথম ইনিসে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক চিগুম্বুরা। দ্বিতীয় সেশনে ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন রেগিস চাকাবভা। আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তদের ১৩.১ ওভারের প্রতিরোধ ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এরপর রিচমন্ড মুতুমবামিকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে নিয়ে দলকে ৭ উইকেটে ২৬১ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন চাকাবভা। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের তোপে আর বেশি দূর এগোয়নি অতিথিদের ইনিংস। রুবেল নিয়াঙ্গারাকে বিদায় করার পর শিঙ্গি মাসাকাদজা ও মুশাংওয়েকে বিদায় করে ২৬২ রানে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেন শফিউল। অপরাজিত থেকে যান চাকাভবা। বাংলাদেশের চারজন বোলার দুটি করে উইকেট নেন। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।