স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ-ভারত সার্বিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সবার আগে আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্কট নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা ও দিল্লির অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা। ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত ওই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বেশ কিছু সুপারিশও করেছেন তারা। কূটনীতিকরা ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত স্থলসীমান্ত চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ যেমন দিয়েছেন, তেমনি শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপরও জোর দিয়েছেন। তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে ভারতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের তরফে ভারতের নিরাপত্তা প্রশ্নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। আলোচনায় স্থান পেয়েছে দেশের বিতর্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশী কূটনীতিক হুমায়ুন কবির অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেন, একতরফা ওই নির্বাচনে বিশ্ব জনমতের বিপরীতে গিয়ে ভারত যেভাবে সমর্থন দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দেশটির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ বাংলাদেশ-ভারত হাইকমিশনার সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে ঢাকা ও দিল্লিতে দায়িত্ব পালনকারী ১৬ জন কূটনীতিক তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বন্ধুপ্রতিম দু দেশের সম্পর্ককে সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তার বিদায়ের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন পর্বে আলোচনা চলে। সেখানে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা বলেন, সত্যিই দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনেক ভাল। কিন্তু এমন সম্পর্কের মধ্যে সীমান্তে এখনও হত্যা বন্ধ হয়নি। কাঁটাতারের বেড়ার পরিধিও বিস্তৃত হচ্ছে। দেশের কোটি লোকের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এক সিনিয়র কূটনীতিক। তবে পরস্পরের নিরাপত্তা ও ঝুঁকি সংক্রান্ত উদ্বেগগুলো আমলে নেয়া এবং দুটি সার্বভৌম ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে একে অপরের স্বার্থ ও মর্যাদার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের তাগিদ দেন পোড় খাওয়া কূটনীতিকরা। আগামী দিনের পথচলায় নতুন নতুন সমস্যা মোকাবেলা এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উভয়ের উন্নতি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বছরে অন্তত একবার দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনার পরামর্শ এসেছে প্রথমবারে মতো আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত হাইকমিশনার সম্মেলন থেকে। অভ্যন্তরীণভাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে কূটনীতিকরা বলেন, সময় এসেছে এমন একটি আইনি কাঠামো গড়ে তোলার, যার মধ্য দিয়ে সামান্য চেষ্টায় অনেক সমস্যার সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে গতকাল থেকে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে। এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে গেস্ট অব অনারের বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক। সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আশিকা ইরশাদ। সঞ্চালনা ও সমন্বয়ে ছিলেন প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
অতীত থেকে শিক্ষা শীর্ষ আলোচনায় অংশ নিয়ে দু দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ ৭ জন তারকা কূটনীতিক তাদের অভিজ্ঞ তুলে ধরেন। ভারতীয় প্রবীণ কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবে বলেন, আস্থা এবং বিশ্বাসের বিষয় কূটনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ভারতের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই সচেতন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরির সূত্রপাত করেছিল। কিন্তু ভারত সুযোগটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। এ সময় তিনি সমস্যা চিহ্নিত করতে দুই দেশের মধ্যে একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয়ের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। এতে দুই দেশের জনগণই সুফল পাবে। এ সময় তিনি দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তির সুপারিশও করেন। দু’দেশের বাজারে পরস্পরের পণ্যের অবাধ প্রবেশের সুযোগ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ও পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেবল সরকার টু সরকার নয়। এটিকে জোরদার করতে এবং সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক মতৈক্যের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে দায়িত্ব পালনকারী ওই সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সার্ক এবং আশিয়ানের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ভূমিকা রাখতে পারে।
ভারতীয় কূটনীতিক আইএস চাডা বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশকে ভারত সহযোগিতা দিয়েছে এটা সত্য। এর সঙ্গে এটাও ভুললে চলবে না যে, সেই যুদ্ধে এখানকার লোকজনের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও ভূমিকা ছিল। অনেকের মধ্যে ভারতের সহযোগিতার বিষয়টিকে বড় করে দেখার মানসিকতা রয়েছে। এটির পরিবর্তন দরকার। এখানকার মানুষের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও জাতীয় মতৈক্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলো নিরসনে সহযোগিতা করেছে। সমানভাবে ভারত এগিয়ে আসতে পারেনি। তিস্তা বা স্থলসীমান্তের মতো ইস্যুগুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব নিষ্পত্তির জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিনষ্ট করতে বিভিন্ন স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী কাজ করছে বলে সতর্কও করেন প্রবীণ ওই কূটনীতিক।
দিল্লিতে দায়িত্ব পালনকারী সিনিয়র কূটনীতিক ফারুক সোবহান বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিতে হবে। এর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে উভয়পক্ষের। আস্থা ও বিশ্বোসের সঙ্কট অনেক পুরনো ও বড় সমস্যা মন্তব্য করেন তিনি বলেন, পাবলিক পারসেপশনকে বিবেচনায় নিতে হবে। মোদি সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার প্রশংসা করেন ওই কূটনীতিক। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত ও বহুমুখী করতে প্রতি বছরই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পরামর্শ দেন তিনি।
কূটনীতিক সি এম শফি সামি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সমপর্ক শুধু দু’দেশের জন্যই নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বিশ্বে উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি। নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দিতে ভারতের জন্য সহায়ক হবে। দু’দেশের সম্পর্ক সঠিক পথে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন শুধু সমস্যা সমাধানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ প্রয়োজন। যাতে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো ঝুলে না থাকে। জনাব সামী ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত গঙ্গা চুক্তি এবং ২০১০ ও ২০১১ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সফর বিনিময়ে অনেক অনিষ্পন্ন ইস্যু সমাধানের পথ উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করেন।
কূটনীতিক হারুন উর রশীদ সমান্তরাল ও ভারসাম্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ২৩ গুন বড় ভারত। তার অনেক ছোট ছোট প্রতিবেশী রয়েছে। উন্নয়নের ব্যবধান যদি বেশি হয়ে যায় তখন নানামুখী সমস্যা হয়। এটির একটি ভারসাম্য দরকার। আর এতে বড় রাষ্ট্রের কর্তব্যই বেশি। তিনি সীমান্ত হত্যা দ্রুত শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং তিস্তা ও সীমান্ত ইস্যুর মতো বিষয়, যার সঙ্গে সরাসরি মানুষ সম্পৃক্ত, তার জরুরি সমাধান কামনা করেন।
চেঞ্জ এন্ড হার্ডলেস কনটেমপোরারি টাইমস’-শীর্ষক দ্বিতীয় সেশনে ভারতীয় কূটনীতিক দেব মুখার্জি বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ায় এক ধরনের বিভ্রান্তি কাজ করছে। যেটা ঠিক নয়। এখনকার টকশো তিনি দেখেছেন বলেও জানান। বাংলাদেশ প্রশ্নে মোদি সরকারের মনোভাব সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করে ওই কূটনীতিক। তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী ভারতের হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। বলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তন হলেও দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে একটি ধারাবাহিকতা থাকে। এটার সঙ্গে ভারতের জাতীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তারপরও এ নিয়ে বাইরে লোকজন কেন কথা বলছে? বাংলাদেশ-ভারত ভাই-বোনের সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি সমস্যাগুলোর দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান প্রত্যাশা করেন। পুরো ইস্যুগুলোর সমাধান না হওয়া এবং এটাকে ফেলে রেখে নতুন ইস্যু নিয়ে কাজ করা উন্নয়নের বড় অন্তরায় বলে মনে করেন তিনি। এক প্রশ্নে বীণা সিক্রি বলেন, বাংলাদেশী চ্যানেল ভারতে না দেখানোটা মিথের পর্যায়ে চলে গেছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, সরকারিভাবে এতে কোন বাধা নেই। এটি ডিস্ট্রিবিউটরদের সমস্যা। বাংলাদেশের তথ্য বিভাগ এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে যত সহজভাবে চলতে পারে ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো তত সহজে চলতে পারে না। বাংলাদেশে ভারতের চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। ভারতে চ্যানেলগুলোর করও বেশি। যে কারণে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো টিকতে পারে না। এছাড়া আঞ্চলিকভাবেও ভারতে অনেক অর্থ খরচ করার প্রয়োজন পড়ে। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, তারিক এ করিম, তৌহিদ হোসেন, ভারতের রজিত মিত্তার ও বর্তমান হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বক্তৃতা করেন। সম্মেলনের উন্মুক্ত সেশনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান, অ্যাম্বাসেডর অলিউর রহমান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মোহসীন আলোচনায় অংশ নেন।
‘ব্রিলিয়ান্ট ও ইউনিক আইডিয়া’ বাংলাদেশ-ভারত হাইকমিশনার সম্মেলনকে একটি ব্রিলিয়ান্ট ও ইউনিক আইডিয়া বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, এ সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক পটভূমি রচনা করেছে। দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনীতে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, অতীতের উত্থান-পতনের পরও দুই দেশের সম্পর্ক আজ এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে এখন কেবল বিকাশই সম্ভব। বিশ্ব আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ছেদ ঘটে। দীর্ঘদিন পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে সম্পর্ক আবার ছন্দে ফিরতে শুরু করে। ২০১০ ও ২০১১ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে তা নতুন মাত্রা পায়। ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বদলের পরও দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সম্পর্ক অন্যান্য দেশের জন্যও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। মাহমুদ আলী বলেন, পাশাপাশি দুটি দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে খোলাখুলি আলোচনার মধ্য দিয়ে তা সমাধান সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির উদাহরণ টেনে বলেন, আশা করি অন্য অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে।