গাংনী প্রতিনিধি: সুফিয়া খাতুন ওরফে সুমি খাতুন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন মেহেরপুর গাংনীর হাড়াভাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান পলাশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী বনবিভাগপাড়ায় সুমির সাথে দেখা করতে এলে স্থানীয়রা দুজনকেই আটক করে পৌরসভায় হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, ১৪ বছর আগে হাড়াভাঙ্গা হাজিপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে সুফিয়া খাতুন ওরফে সুমির বিয়ে হয় একই গ্রামের শেখপাড়ার সৌদি প্রবাসী ফজলুর রহমানের সাথে। সুমির সংসারে রয়েছে এক ছেলে। অনেক দিন ধরে স্বামী সৌদিতে থাকায় প্রতিবেশী নিয়ামত আলী মাস্টারের ছেলে হাড়াভাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান পলাশের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় বছরখানেক আগ থেকে স্বামী- স্ত্রীর মতো রাতযাপন করতো। স্ত্রী ও এক মেয়ের জনক পলাশ।
সুমির অভিযোগ, প্রতিনিয়ত দৈহিক মেলামেশার কারণে একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি পলাশকে জানানোর পর গর্ভপাত করাতে বললেও সুমি তা করেনি। এদিকে সুমির দেহের ভেতর আরেকটি দেহ বাড়তে থাকায় জেনে যায় পরিবার প্রতিবেশী এমনকি গ্রামবাসীরাও। বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে গাংনীর বন বিভাগপাড়ার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় সুমি।
গতকাল দুপুরে গোপনে সুমির সাথে পলাশ দেখা করতে এলে স্থানীয়রা পলাশ ও সুমিকে আটক করে পৌরসভায় হস্তান্তর করে। পৌর আদালতে পলাশ ও সুমি দুজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করে। সুমি জানায়, তার স্বামী বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনিও জেনে গেছেন। তাই পলাশকেই বিয়ে করবে।
সুমির অভিযোগের বিষয়ে পলাশ স্বীকারোক্তি দিয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ৫ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে সুমিকে কবুল করেন পলাশ। গতরাতেই নববধূকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন পলাশ।