বিশেষ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা শহর ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলোতেও চলছে জমজমাট মাদকব্যবসা। পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে প্রকাশ্যে এ সকল মাদকব্যবসা। ডামোশ গ্রামের নিজু ফেনসিডিলের ব্যবসা বন্ধ করলেও একই গ্রামের মঞ্জু জমজমাট ফেনসিডিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই আলমডাঙ্গা শহর থেকে মোটরসাইকেলের লাইন শুরু হয় এ গ্রামে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ফেনসিডিলের এ জমজমাট আসর। তাছাড়া মাদকব্যবসায়ী মঞ্জু ইদানিং ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিমাসে পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকা বখরা দিয়েই সে এ রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।
ক্যানেলপাড়ার জাহিদ তো প্রকাশ্যে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন বিক্রির জন্য ৩শ টাকা করে জন কিনে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। অভিযোগকারীরা বলেছেন, জাহিদ চোর প্রতিমাসে থানা পুলিশকে বখরা দিয়েই বছরের পর বছর রমরমা মাদকব্যবসা চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তার বেশ কিছু জন (কর্মী) আনন্দধাম, কলেজপাড়া ও হাউসপুর এলাকায় ফেরি করে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে। পূর্বে জাহিদকে মাঝে-মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করলেও দীর্ঘদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
হারদী গ্রামের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাদকব্যবসায়ী সাধু বর্তমানে জেলে থাকলেও বন্ধ নেই তার মাদকব্যবসা। সাধুর স্ত্রী মোহরামি খাতুন বেশ শক্ত হাতে মাদক ব্যবসার হাল ধরেছে। পুলিশের সাথে রফা করেই সে জমজমাট মাদকব্যবসা চালাচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে। তার ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসা হারদীতে ওপেন সিক্রেট।
ওসমানপুরের সন্ন্যাসীর মাদকব্যবসাও এলাকায় বেশ খোলামেলা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেও দীর্ঘদিনের গাঁজা, ফেনসিডিল ও হেরোইনকারবারী বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গ্রামবাসী তাকে সংযত হয়ে মাদকব্যবসা করার জন্য সতর্ক করলে মাদকব্যবসায়ী সন্ন্যাসী তাদেরকে পুলিশ দিয়ে শায়েস্তার উল্টো হুমকি দেয় বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী প্রাগপুরের নিয়াত আলীর বিরুদ্ধেও মাদকব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।