বাঁশের ঠেকনো দিয়ে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ছাদ ঠেকিয়ে রাখা হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বাঁশের ঠেকনো দিয়ে আলমডাঙ্গার হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ছাদ কয়েকদিন ঠেকিয়ে রাখা হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যায় ছাদ ভেঙে পড়ার উপক্রম হলে ঝুঁকি নিয়ে পড়ন্ত প্রায় ছাদের নিচে থাকা চিকিৎসাধীন রোগীরা দ্রুত বের হয়ে যায়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভবন বেশ কয়েক বছর যাবত ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও অনেকটা বাধ্য হয়েই এ ভবনের নিচতলায় ইমার্জেন্সি রুম ও ওপরে মহিলা ওয়ার্ড হিসেবে এ যাবতকাল তা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ছাদের জরুরি বিভাগের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের অংশ ফেটে যায়। ওই অবস্থায় ছাদের ফাটা অংশ কোনো রকমে বাঁশের ঠেকনো দিয়ে ঠেকিয়ে রেখে ঝুঁকি নিয়েই ব্যবহার করা হচ্ছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় ছাদের ফাটল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলে চিকিৎসাধীন রোগীরা বের হয়ে যান।

এদিকে ছাদ ভেঙে পড়ার উপক্রম হওয়ার পরদিন গত ৩০ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আবু মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী এইচইডি বরাবর ছাদ মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন। বিষয়টি তিনি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও এইচইডির যশোর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অবহিত করেছেন।

কয়েক বছর আগে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ১৯ বেড সম্পন্ন একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রায় ৩/৪ বছর আগে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার ওই ভবনের উদ্বোধনও করেছেন। অথচ তা ব্যবহারের এখনো অনুমতি দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে নতুন বিল্ডিং অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।