দামুড়হুদার কামারপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতনে নিহত জাকিরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার কামারপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতনে খুন হয়েছেন গরুব্যবসায়ী জাকির। বিজিবির কাছে জাকিরকে আটক ও খুনের কথা বিএসএফ’র অস্বীকার করলেও এখন অনেকটাই পরিষ্কার অমানুষিক নির্যাতন শেষে খুন করে ফেলা দেয়া হয় সীমান্ত ঘেঁষা মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে। পুলিশ জাকিরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে। স্থানীয় গোরস্তানে জাকিরের লাশ পরিবারের সদস্যরা দাফন করেছেন। দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া পূর্বপাড়ার আব্দুর জোব্বার ছেলে দু সন্তানের জনক গরুব্যবসায়ী জাকিরের (৩০) পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত রোববার ভোরে বাড়ি থেকে বের হয় জাকির। কেন কী কারণে জাকির কোথায় গেছে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত বলতে পারেনি। তবে গোটা এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে জাকির ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ’র হাতে আটক হতে পারে। এ গুঞ্জনে কান দিয়ে পরিবারের শুরু করে কান্না। বিজিবির পক্ষ থেকে খোঁজ নিলেও বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জাকিরকে আটকের কথা করা হয় অস্বীকার। এদিকে গতপরশু সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তের ৮১ নং মেন পিলারের নিকটবর্তী কামারপাড়ায় মাথাভাঙ্গা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশ শনাক্তের জন্য জাকিরের পরিবারের সদস্যরাসহ গ্রামবাসী ভিড় জমায় নদীর ধারে। খবর দেয়া হয় বিজিবি ও পুলিশে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদীর পানি থেকে জাকিরের লাশ উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। ওই রাতেই পুলিশ থানায় হেফাজতে নেয় জাকিরের লাশ। গতকাল মঙ্গলবার জাকিরের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ জাকিরের লাশ দেয়া হয় পুলিশের হাতে। বিকেলেই দাফন শেষে স্থানীয় গোরস্তানে জাকিরের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।