পাউয়ারট্রিলার চাপায় নারীশ্রমিক নিহত : শিশুসহ আহত ১০

দামুড়হুদার নতিপোতা সড়কে বাবুর আলীর বাড়ির সামনে কাঠভর্তি পায়ারট্রিলার উল্টে বিপত্তি

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার নতিপোতায় কাঠভর্তি পাউয়ারট্রিলারের নিচে চাপা পড়ে ফিরোজা বেগম (৫০) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশুসহ কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নতিপোতা সড়কের বাবুর আলীর বাড়ির সামনে একটি কাঠভর্তি পাউয়ারট্রিলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং রাস্তায় মাটি কাটা কাজ করা মহিলাদের চাপা দেয়। পথচারীরা আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজা বেগম মারা যান। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের মৃত মানিকের মেয়ে। আহতরা হলেন- চারুলিয়া গ্রামের খলিল শেখের মেয়ে বেদেনা (৪০), হোগলডাঙ্গা গ্রামের সেলিমের স্ত্রী রেকসোনা (৩৪), একই গ্রামের মৃত বানাত আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুন (৩৭), হেমায়েতপুর গ্রামের মমিনের স্ত্রী আঙ্গুরা খাতুন (৩৯), ছুটিপুরের মওলা বক্সের স্ত্রী রুশিয়া (৩৯), একই গ্রামের শ্রী নিমাই দাসের স্ত্রী ভারতী বালা (৩৮), অনীলের স্ত্রী কালিদাসী (৪০), চন্দ্রবাসের জাকিরের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৩৬), ভগিরথপুরের আশাবুলের স্ত্রী জোহুরা বেগম (৫৫) ও তার ৬ বছর বয়সী শিশু নাতি আলোমতি। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার সকালে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আরইআরএমপি প্রকল্পের ১০ জন মহিলা শ্রমিক উপজেলার নতিপোতা সড়কে বাবুর আলীর বাড়ির সামনে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর থেকে হেমায়েতপুর অভিমুখে ছেড়ে আসা কাঠভর্তি একটি পাউয়ারট্রিলার ওই স্থানে পৌঁছুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে বসে থাকা ১০ মহিলা শ্রমিককে চাপা দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে ফিরোজা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসিনা ফেরদৌস। নিহত ফিরোজা বেগমের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই বাদ এশা নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে আরইআরএমপি প্রকল্পের ১০ জন মহিলা শ্রমিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ফিরোজা বেগম নামে যিনি মারা গেছেন তিনি আমাদের প্রকল্পের শ্রমিক না। ওনার মেয়ে সালেহা খাতুন আমাদের প্রকল্পের শ্রমিক। সালেহার অনুপস্থিতিতে তার মা ফিরোজা বেগম আজ কাজে এসেছিলেন। তিনি আরো জানান, জহুরা বেগম নামের যিনি আহত হয়েছেন তিনিও আমাদের শ্রমিক না। ওনার মেয়ে টিয়া খাতুন আমাদের শ্রমিক। ওনি মেয়ের পরিবর্তে নাতিকে সাথে নিয়ে কাজে এসেছিলেন।