ওয়ানডেতে উন্নতি না হলে শঙ্কায় বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: টেস্ট ৱ্যাঙ্কিঙে এক ধাপ উন্নতির পর ওয়ানডেতে এক ধাপ ওপরে ওঠাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে অন্তত আট নম্বরে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এ প্রতিযোগিতায় কোনো বাছাই পর্ব নেই, সরাসরি খেলবে ওয়ানডের সেরা আট দল। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, বোর্ড সভায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আট দল ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের ৱ্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তাই ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নিতে হলে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে অন্তত আট নম্বরে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ৬৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এখন নয় নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। সাত ও আট নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৯৬। ছয় নম্বরে থাকা পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ৯৮। বাংলাদেশের পেছনে থাকা জিম্বাবুয়ের রেটিং পয়েন্ট ৫৮। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে অন্তত ৮ নম্বরে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ তখন টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ৱ্যাঙ্কিঙের সেরা আটটি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে।
ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া সেই প্রতিযোগিতায় খেলতে নয় ও ১০ নম্বরে থাকা টেস্ট মর্যাদার দেশ দুটিকে সহযোগী সদস্যগুলোর সাথে বাছাই পর্বে খেলতে হবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশেই হবে সেই বাছাই পর্ব। নিজেদের মাটিতে সেই প্রতিযোগিতা এড়াতে চাইলে ওয়ানডেতে উন্নতি করতেই হবে বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জিতে আইসিসি টেস্ট ৱ্যাঙ্কিঙে এক ধাপ উত্তরণ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এতে সহযোগী দেশগুলোর টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার লড়াই ‘আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জে’ খেলা এড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে মুশফিকুর রহিমের দলের।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে অথবা সে সময় চলতে থাকা কোনো সিরিজ শেষ হওয়ার পর আইসিসি টেস্ট ৱ্যাঙ্কিঙের দশম দলটি সহযোগী দেশগুলোর প্রতিযোগিতা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের বিজয়ী দলের বিপক্ষে পাঁচ দিনের চারটি ম্যাচ খেলবে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়া কোনো দেশের জন্য তা ‘অমর্যাদা’র সিরিজ বলেই ধরা হচ্ছে।

Leave a comment