সাইফুল ইসলাম পিনুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আজ ৯ নভেম্বর। চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকমহল, সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গন, বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থাসমূহসহ খেটে খাওয়া মানুষের শোকের দিন। কেননা, আজকের এ দিনেই সাংবাদিক সমাজের অন্যতম পথিকৃত, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবারের আদর্শ, খেটে খাওয়া মানুষের সংগঠিত হয়ে অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পিনুর মৃত্যুবার্ষিকী। দু বছর আগে আজকের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকলকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে চুয়াডাঙ্গা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ও গভার্নেন্স কোয়ালিশনসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রয়াত প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিনুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছে। পল্লী উন্নয়ন সংস্থা পাস’র নির্বাহী পরিচালক ছিলেন তিনি। এ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের নিকটস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে আজ বাদ আছর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পারিবারিক উদ্যোগে গত শুক্রবার বাদজুমা কোরআনখানিসহ বিশেষ দোয়া ও কবর জিয়ারতের আয়োজন করে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সাহিত্য পরিষদ সংলগ্ন পুরাতন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সিডিএফ’র সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও গভার্নেন্স কোয়ালিশনের চুয়াডাঙ্গা সমন্বয়কারী জহির রায়হান স্মরণসভায় সকলকে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন সাইফুল ইসলাম পিনু। তার স্ত্রী মমতাজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দেড় সপ্তার মাথায় ৯ নভেম্বর সকালে নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের চুয়াডাঙ্গা সভাপতি ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপিসহ অসংখ্য মানুষ নামাজে জানাজায় শরিক হন। পর পর দু দফা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে টানা ১০ বছর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সরকারি করার জন্য তার অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে সংগঠিত হয়ে অধিকার আদায়ের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছিলেন পা-ফাটা মানুষগুলোর হৃদয়ে। তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শুধু বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন। সাইফুল ইসলাম পিনুর একমাত্র মেয়ে পিয়া তার পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।