জীবননগরে সমৃদ্ধি কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের সভায় পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ

সমৃদ্ধি কর্মসূচি নারীদেরকে আর স্বাবলম্বী করবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর স্কুলমাঠে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারসমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি-সমৃদ্ধি কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিকেএসএফ’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আগে পিকেএসএফ’র কর্মকর্তারা সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে প্রকল্পের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী ও জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল। এ সময় উপকারভোগী কৃষক মোজাম্মেল হক, সখিনা বেগম ও লাভলী বেগম তাদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, সীমান্ত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা ও ইউপি সদস্য ইমান উদ্দিন। ড. খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, পৃথিবীর সব ভালো কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমৃদ্ধি কর্মসূচি নারীদেরকে মূল্যায়নের পথ দেখিয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে নারীরা আরো স্বাবলম্বী হবে।

আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্যে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সীমান্ত ইউনিয়নে সমৃদ্ধি কর্মসূচি ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়। এ ইউনিয়নে জেলার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া ইউনিয়ন। শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা এ ইউনিয়নে নেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস। ৩০ হাজার মানুষ অধ্যুষিত সীমান্ত ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯২৭টি পরিবার সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। ৪০টি শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এবং ৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে ৯টি সমৃদ্ধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় কৃষি, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও ঋণ কার্যক্রমে দু হাজার ৩৫৬ জনের মধ্যে ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।