আগামীকাল শনিবার শহীদ হাসান চত্বরে সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে মাঠরক্ষা সমন্বয় কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি আবারও গ্রাসের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ভি.জে স্কুলের খেলার মাঠ ও স্বার্থ সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব এ মন্তব্য করে বলেছেন, চক্রান্তের বিষয়টি সর্বসাধারণকে জ্ঞাত করার লক্ষ্যে আগামী শনিবার সকাল ১০টায় শহীদ হাসান চত্বরে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
ভি.জে স্কুলের খেলার মাঠ ও স্বার্থ সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব বলেছেন, ২০০১ সালে একটি মামলা করা হয়। একতরফাভাবেই চলতে থাকে সে মামলা। বিষয়টি জানার পর সমন্বয় কমিটি গঠন করে পদক্ষেপ নেয়া হয়। আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। আইনি লড়াই করেই ভি.জে স্কুলের কোর্টপাড়াস্থ ৫ একর ৪৭ শতক জমির খেলার মাঠটি রক্ষা করা সম্ভব হয়। রায় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষেই আসে। এরপর যখন আমরা সকলেই নীরব, তখন ২০১০ সালে আবারও মামলা করে। এটাও চলছিলো আমাদের অজ্ঞাতভাবে। বিষয়টি সম্প্রতি জানতে পেরেই সকলকে জানানোর পাশাপাশি আমাদের করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সুধীসমাজকে নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশেই ভূমি দস্যুদের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
তিনি আরো বলেছেন, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও স্বার্থ সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটির তরফে ইতোমধ্যেই কিছু প্রশ্ন সংবলিত খোলাচিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট পেশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকটও খোলা চিঠিটি প্রদান করা হয়েছে। খোলা চিঠিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শিক্ষানুরাগী ভূ-স্বামীদের উৎসর্গকৃত কোটি কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টা চক্রান্ত রোধ করবে কে? কেনই বা লোহার সিন্দুক থেকে জমির দলিল হারালো। সর্বশেষ মামলায় ভি.জে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কেন রাখা হলো না বিবাদীর তালিকায়? সম্পত্তি শিক্ষা বিভাগের, অথচ একমাত্র বিবাদী করা হয়েছে জেলা প্রশাসককে। বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের বিশেষ দৃষ্টি নিবন্ধ হওয়ায় শিক্ষা অফিসারকে বিবাদীভুক্ত করার আদেশ দেন। এ কারণেই মামলার বিষয়টি আমাদের জানা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু জানা সম্ভব হয়েছে, সেহেতু ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ রক্ষায় আবারও প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকসহ চুয়াডাঙ্গার শিক্ষানুরাগীমহল জেগে উঠবে। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ জেগে না উঠলে স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা হবে কীভাবে? সে কারণে আবারও সকলকে জেগে ওঠার অনুরোধ জানাচ্ছি। আহূত সুধীসমাবেশে সকলকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।