২০ বছর পর পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্ট মুঠো মুঠো সাফল্য এনে দিলো পাকিস্তানকে। শুধুই কি এ ম্যাচ, গোটা সিরিজই তো পাকিস্তানের জন্য সাফল্যে মোড়া। তবে মিসবাহ-উল-হকের দলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়। শুধু তা-ই নয়, ১৯৮২-৮৩ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিল পাকিস্তান। পাকিস্তান এ ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে, এমনকি সিরিজটাও তার পূর্বাভাস মিলে ছিলো তৃতীয় দিনেই; যখন ৩০১ রানের লিড পাওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়াকে ফলো-অন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন মিসবাহ। অস্ট্রেলিয়াকে পাকিস্তান লক্ষ্য দিলো ৬০৩ রানের। পাহাড়সম এ লক্ষ্য পেরোতে ইতিহাস গড়তে হতো মাইকেল ক্লার্কের দলকে। কিন্তু অনুমান সত্যি করে অস্ট্রেলিয়া আত্মসমপর্ণ করলো পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই। অলআউট হলো ২৪৬ রানে। হারল ৩৫৬ রানে।

অস্ট্রেলিয়ার ভাবনায় হয়তো ছিলো কোনোভাবে উইকেট আঁকড়ে থেকে ম্যাচটা ড্র করা। কিন্তু তা হতে দিলেন না পাকিস্তানের স্পিনাররা। মোহাম্মদ হাফিজ, জুলফিকার বাবর ও ইয়াসির শাহ তিনজনে মিলেই শেষ করে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। জুলফিকার তুলে নিলেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। হাফিজ ২টি আর ইয়াসির নিয়েছেন ৩টি। গত দিনের ৪ উইকেটে ১৪৩ রানে খেলতে নেমে গতকাল অবশিষ্ট ৬ উইকেটে ১০৩ রান যোগ করলো অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের জয়োৎসব বিলম্বিত করেছে মূলত মার্শ ও স্টিভেন স্মিথের পঞ্চম উইকেটে তোলা ১০৭ রানের জুটি। স্মিথ গলার কাঁটা হয়ে বেঁধে রইলেন বেশ কিছুক্ষণ। অবশেষে কাঁটা নামালেন ইয়াসির। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে এ ডানহাতি করলেন ৯৭ রান। রানের দিক দিয়ে টেস্টে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের তালিকায় এটি দ্বিতীয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়া মিসবাহ। আর সিরিজ–সেরা? ঠিকই ধরেছেন-সেঞ্চুরির ‘হ্যাটট্রিক’ করা ইউনিস খান।