গাংনীতে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনের পিতার কারাদণ্ড

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে ফেঁসে গেছেন হযরত আলী নামের এক পিতা। আইন লঙ্ঘন করে কন্যাশিশুর বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চান্দামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাল্যবিয়ে আইন ১৯২৯ সংশোধিত ১৯৮৪’র ৬ ধারা অনযায়ী বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। গতকালই দণ্ডপ্রাপ্তকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, চান্দামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সাথে ধানখোলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সুলতান আহমেদের বিয়ের দিন ধার্য করা হয় গতকাল সোমবার। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মেয়ের পিতাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। এ লক্ষ্যে প্যান্ডেল তৈরি ও রান্নার কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়।

বাল্যবিয়ের বিষয়টি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন ও গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি রমজান আলীকে সাথে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান। কন্যার পিতাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবুল আমিন জানান, বাল্যবিয়ে দেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন তিনি।

Leave a comment