দামুড়হুদার গোপিনাথপুরের আরিফের কাণ্ড : বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর দেহভোগ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে আরিফ তার এক হতদরিদ্র প্রতিবেশীর মেয়ে গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিমাকে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেহভোগ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রিমা বিয়ের দাবি নিয়ে অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে গেলে তাকে মেরে ধরে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাতেই গ্রামে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এলাকার প্রভাবশালী আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন সালিস বৈঠকে হাজির না হওয়ায় শেষমেষ তা ভেস্তে গেছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী হতদরিদ্র ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে আরিফ (২২) তার প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের মেয়ে গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিমা খাতুনের সাথে প্রায় দু বছর ধরে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত দেহভোগ করে আসছিলো। গত বুধবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আরিফ ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ির পেছনে যায় এবং বিয়ে করবে বলে তাকে বাইবে আসতে বলে। প্রতারক প্রেমিক আরিফের ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে এলে তাকে বাড়ির একশ গজ অদূরে একই গ্রামের খলিলের পানবরজের কুঁড়েঘরে নিয়ে যায়। লিপ্ত হয় দৌহিক মিলনে। এদিকে রাত আনুমানিক ২টার দিকে রিমা পাশে শুয়ে থাকা ছোট বোন রিমাকে দেখতে না পেয়ে কান্না শুরু করে। তার কাঁন্নায় ঘুম ভাঙে রিমার বাবা-মার। ঘরে গিয়ে দেখে রিমা নেই। রিমার নাম ধরে বেশ কয়েকবার ডাক দিলেও তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পেছনের জানালার কাছে যেয়ে দেখে জানালার পাল্লা খোলা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। মেয়েকে খুজে না পেয়ে ছুটে যান ওই আরিফের বাড়িতে। তাকেও ওই সময় বাড়িতে না পাওয়া গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। বিষয়টি রাতেই গ্রামের মাতবরদের জানান হতদরিদ্র ওই মেয়ের পিতা লুৎফর রহমান। বিষয়টি পানবরজের কুঁড়েঘরের মধ্য থেকে আঁচ করতে পেরে লম্পট আরিফ দিনের বেলায় বিয়ে করবে এ প্রতিশ্রতিতে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রিমাকে কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আরিফও চলে যায় নিজ বাড়িতে। রিমা বাড়িতে যাওয়ার পর বাড়ির লোকজনের চাপের মুখে ঘটনাটি বলে দেয়। প্রতিবেশী আরিফ তাকে বিয়ে করবে বলে আমাকে তার সাথে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশায় বাধ্য করেছে বলেও সে জানায়। সকালে রিমার পিতা-মাতা আবারও ছুটে যায় আরিফের বাড়িতে। বিয়ের কথা বলতেই বেকে বসে আরিফ। সে জানায়, আমি তার সাথে যা করেছি তা টাকার বিনিময়ে। সুতরাং তার সাথে বিয়ের প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অসহায় গরিব পিতা-মাতা পড়েছেন অথৈই সাগরে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রিমা বিয়ের দাবি নিয়ে অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে গেলে তাকে মেরে ধরে তাড়িয়ে দেয়া হয়। রাত ৮টার দিকে গ্রামে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন সালিস বৈঠকে হাজির না হওয়ায় শেষমেশ তা ভেস্তে গেছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী হতদরিদ্র ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন।

Leave a comment