জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে : নিজামী

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, জীবন-মৃত্যু আল্লাহতায়ালার হাতে। যার যেখানে মৃত্যু লেখা আছে সেখানেই তা হবে। এ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। একই সাথে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর তাকে উদ্ধৃত করে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম এ প্রতিক্রিয়া জানান।

নিজামী প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেছেন, মানবতাবিরোধী যেসব অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে এনেছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এর সঙ্গে তার এবং তার দল জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। শুধু ১৯৯১ সালে সরকার গঠনে আওয়ামী লীগকে জামায়াত সমর্থন না দেয়ায় এবং তিনি এই দলের আমির হওয়ায় তাকে এ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, মামলায় পাবনার যেসব স্থানের কথা বলা হয়েছে সেসব স্থানে কখনো তিনি যাননি। কিছু লোককে মিথ্যা সাক্ষী বানিয়ে এ মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতো বড় মিথ্যা মামলা দিয়ে তার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। তবে সেই প্রতিবাদ হতে হবে অহিংস ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে। নিজামী বলেছেন, যেহেতু তিনি ইসলামী আন্দোলন করেন সেহেতু তাদের ওপর এ ধরনের জুলুম, নির্যাতন ও মিথ্যা অপবাদ আসতেই পারে।

গতকাল বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর অনুমতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন তার পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন ও আইনজীবী এম তাজুল ইসলাম।

ভ্রান্ত ও ন্যায়ভ্রষ্ট রায়: আসামিপক্ষের আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ রায় আবেগাশ্রয়ী। এ রায়ে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল নিজ এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে অনেক কথা বলেছেন। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেছেন, নিজামীকে মন্ত্রী করা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু আমরা মনে করি রাজনীতি ও আদালতের ভাষা এক হওয়া উচিত নয়। কে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হবেন সেটি ট্রাইব্যুনালের বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে নিজামী মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ রায় ভ্রান্ত ও ন্যায়ভ্রষ্ট।