আরও একটি পরিবারের গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি

আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারী গ্রামের মুসারদ্দি হত্যামামলা দায়ের : আসামি গ্রেফতারের দাবি

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারী গ্রামের সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে নিহত গৃহকর্তার ছেলে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ছোটপুটিমারী ও তার আশপাশ এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে নাগদাহ গ্রামের দুধব্যবসায়ী শফিকের পর আরও একটি পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারী গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে মুসারদ্দি ওরফে মুসা উদ্দিন (৬৫) গত সোমাবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া বোমার আঘাতে নিহতের পর এলাকায় থমধমে অবস্থা বিরাজ করছে। ছোটপুটিমারী বাজারের ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া পুটিমারী ও তার আশপাশ এলাকায় সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল নিহতের বড় ছেলে আফিল উদ্দিন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে ছোটপুটিমারী গ্রাম সংলগ্ন নাগদাহ ক্যানালপাড়ায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে দুধব্যবসায়ী শফির পরিবারের লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। একই গ্রামের মৃত রবিউলের ছেলে জাকের পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেশাগ্রস্ত যুবক গ্যাং গ্রুপ গঠন করে মাঝে মাঝে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস দেখায় না। বোমা হামলার ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তির নাম এলাকায় শোনা যাচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা তাদের ব্যাপারে তদন্ত করছে ও আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশসূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারী গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে মুসারদ্দিনের (৬৫) বাড়িতে এক দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ি গেট ঝাঁকাতে থাকে। এ সময় তিনি গেটের কাছে এলে তাকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। মাথায় লাগা বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন প্রথমে মুন্সিগঞ্জ প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমের নেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় রেফার করলে রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।