কালীগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ : স্মারকলিপি পেশ

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি নিয়ম ভঙ্গ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল শনিবার দুপুরে এ কর্মসুচি পালন করে। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন এবং কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন মোল্লার নিকট স্মারকলিপি পেশ করে। কর্মসূচিতে কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থীর সাথে কিছু শিক্ষকও অংশ নেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি আশরাফ উদ্দীন, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাইল হোসেন, সাবেক সভাপতি সোহেল রানা ও রিপন প্রমুখ। সমাবেশে অভিযোগ করা হয় মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান আদালতের নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাতসহ নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। অধ্যক্ষ নিজেই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি একের পর এক দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করে চলেছেন। তিনি ভূগোলের শিক্ষক সাইফুন নাহারকে নিয়োগ দিয়ে বেতন করাতে ব্যর্থ হলে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বেতন করিয়ে আনেন। ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের দুজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসের প্রভাষক নিয়োগের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী এবং ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরকে মনোনীত করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ এ দুজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে সরকারি এমএম কলেজের দু শিক্ষককে দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তিনি ইতিহাস বিষয়ে সুপর্ণা বিশ্বাস ও ইসলামের ইতিহাসে সেলিনা আক্তারকে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ করা হয়। আর অধ্যক্ষ এসব করেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। সমাবেশে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে অপসারণের দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজটির ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানানো হয়।