মেহেরপুরের মুজিবনগর এলাকায় একের পর এক ডাকাতি

মেহেরপুরের মুজিবনগর এলাকায় ডাকাতি যেন লেগেই আছে। কোনো রাতে গণহারে দশ বাড়িতে, কোনো রাতে ডাকাতি করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে বোমা নিক্ষেপ। একের পর এক ডাকাতি ও ডাকতদলের অপতৎপরতা যে এলাকাবাসীকে শঙ্কিত করেছে তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। ডাকাতি প্রতিরোধে গ্রামের সাধারণ মানুষ সোচ্চার হলেও পুলিশের বাড়তি তৎপরতা ছাড়া যে শঙ্কা দূর হবে না তা বলাই বাহুল্য। কারণ সাধারণ মানুষ নিরস্ত্র। তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই পুলিশ নিযুক্ত।

 

অবশ্যই নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হলে এলাকাবাসীকে দায়িত্বশীল হতে হয়। এলাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ এককভাবে কখনই আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার কাজে শতভাগ সফলতা পায় না। পুলিশকে এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিতে হয়। এলাকাবাসীকেও নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো- কখন জনগণ পুলিশকে সহযোগিতা করে? যখন পুলিশি আস্থাভাজন হয় তখন এলাকার শান্তিপ্রিয় মানষ সহযোগিতার হাত বাড়ায়। মুজিবননগর এলাকায় একের পর এক ডাকাতি হলেও প্রত্যাশিত প্রতিকার মিলছে না। গ্রামাঞ্চলের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ উপায় না পেয়ে অস্ত্রধারী ডাকাতদলকে প্রতিরোধ করেছে।

 

সমাজে দুষ্কৃতীকারী বা অপরাধীর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এরপরও তাদের অপতৎপরতায় সমাজে সাধারণ মানুষগুলো জিম্মি হয়ে পড়ে। কেন? শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ যেমন সংগঠিত নয়, তেমনই তারা নিরস্ত্র। পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে অস্ত্র নিয়ে সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করলে অপরাধীদের অপতৎপরতা হ্রাস অসম্ভব নয়। নিশ্চয় মুজিবননগর এলাকায় পুলিশি তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে। অপ্রতুলতার অজুহাত এড়িয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে আন্তরিক তৎপরতা কাম্য।