চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা-গহেরপুর সড়কে লাশবাহী মাইক্রোবাস থেকে ছিনতাইয়ের ১০ দিন অতিবাহিত : কেউ গ্রেফতার হয়নি

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা-গহেরপুর সড়কের মধ্যবর্তী এদোজোলের বাঁকে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে সশস্ত্র মুখোশধারী ছিনতাইকারীরা তাণ্ডব চালিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পারায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম হতাশা মধ্যে দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে একটি লাশবাহী একটি মাইক্রোবাস চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহের খাড়াগোদা-গহেরপুর সড়কের মধ্যবর্তী এদোজোলের বাঁকে পৌঁছুলে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে মুখোশধারীরা ১০/১২ জন মাইক্রোর গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে লাশের সাথে থাকা লোকজনের নিকট থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি বলে এলাকাবাসী জানায়। ঘটনার পর থেকে এলাকার বাতাসে ভাসছে নানা প্রশ্ন। টাকার খবর কে জানতো? লাশের গাড়ি যখন নিজ গ্রামে ফিরছিলো তখন কোন মোবাইল থেকে বার বার গাড়ির অবস্থান জানতে ফোন করছিলো? লাশ বাড়ি পৌঁছানোর ২০ মিনিট পর কেন প্রকাশ করা হচ্ছে রাস্তায় ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা একজনের দিকে সন্দেহের তীর অনেকেরই। কারণ মাইক্রোবাসের মধ্যে একজন আলোচিত আদমব্যাপারী ছিলো। যিনি ইতঃপূর্বে বিদেশে নেয়ার জন্য অনেকের নিকট থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে বিদেশে না নিয়ে যেতে পেরে ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিলো। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা দরকার। তবে ঘটনা যে বা যারাই ঘটিয়ে থাকুক না অসহায় পরিবারের দিকটি বিবেচনা করে প্রকৃত অপরাধীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কলিম জোয়ার্দ্দারের ছেলে মশিয়ার রহমানের (৩০) মাথায় ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশন করার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। বাড়ি ফেরার পথে লাশবাহী মাইক্রোবাসটি তিতুদহের খাড়াগোদা-গহেরপুর সড়কের মধ্যবর্তী এদোজোলের বাঁকে পৌঁছুলে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে মুখোশধারী ১০/১২ জন ছিনতাইকারী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। ওই দিনই এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সমসেরের ছেলে শহিদুল ও একই গ্রামের হান্নানের ছেলে মোখলেছুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ছেড়ে দেয়।

Leave a comment