মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিফা বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। চলতি মাসের শেষে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল ক্ল্যাসিকোর মাধ্যমেই কাতালানদের হয়ে তার অভিষেকের অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন সমর্থকরা। গত বুধবার গোল্ডেন বুট পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুয়ারেজ বলেন, এখন আর বেশি সময় বাকি নেই, আমি সবসময়ই এখানে খেলার অপেক্ষায় ছিলাম। গত মরসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সাথে যৌথভাবে এবারের গোল্ডেন বুট জয় করেছেন সুয়ারেজ। সর্বমোট ৩১ গোল করে এই দুজন ঐতিহ্যবাহী এ পুরস্কারে ভাগ বসিয়েছেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ডিফেন্ডার গিওর্গিও চিয়েলিনিকে কামড় দেবার অপরাধে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা সুয়ারেজকে ক্লাব পর্যায়ে চার মাসের জন্য এবং নয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করে। আগামী ২৫ অক্টোবর মাদ্রিদের মাটিতে মরসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো অনুষ্ঠিত হবার আগের দিন সুয়ারেজের এ বহিষ্কারাদেশের সময় শেষ হচ্ছে। তাই বার্সেলোনার হয়ে মেসি ও নেইমারের পাশাপাশি দারুন এক ম্যাচের মাধ্যমে তার অভিষেক দেখার অপেক্ষায় পুরো কাতালান শিবির। আর সানতিয়াগো বার্নাব্যুর এ ম্যাচের জন্য নিজেকে পুরোপুরি ফিট দাবী করে সুয়ারেজ বলেছেন, এই মুহূর্তে আমি শতভাগ ফিট। একজন খেলোয়াড়ের সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয়। বার্নাব্যুতে অভিষেক হওয়াটা সত্যিই দূর্দান্ত এক অনুভূতি। লিভারপুলের কোচ কেনি ডাগলিশের হাত থেকে গতকাল সুয়ারেজ গোল্ডেন বুট পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ কোচের হাত ধরেই ২০১১ সালে তিনি লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন। সুয়ারেজ সম্পর্কে তাই ডাগলিশের কন্ঠেও শোনা গেছে প্রশংসার সুর, সে একজর দারুণ খেলোয়াড়। লিভারপুল যখন এ মানের একজন খেলোয়াড় খুঁজছিলো তখন ক্লাবের ফুটবল পরিচালক তার নাম প্রস্তাব করার সাথে সাথে আমি কোন সময় নষ্ট করিনি। পুরো মরসুমে সে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে। বার্সেলোনা তাকে পেয়ে সত্যিকার অর্থেই বেশ সৌভাগ্যবান। ৮১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চলতি মরসুমে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন সুয়ারেজ।