তুলার আবাদে এলাকার চাষিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

মো. শাহাবুদ্দিন: জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির হুমকি তামাকচাষ থেকে এলাকার চাষিরা দিনদিন মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তুলার আবাদে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। তাতে দেখা গেছে চলতি মরসুমে তুলার আবাদ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যনুযায়ী, গতবছর তুলা চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির কিন্তু আবাদ হয় ৩ হাজার ৭৪২ হেক্টর জমিতে, তাতে তুলা উৎপাদন হয়েছিল ১৯ হাজার ৩৭৮ বেল। চলতি মরসুমে তুলা আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে। বিশেজ্ঞরা মনে করছে এ-আবাদ থেকে তুলা উৎপাদন হবে ২১ হাজার ১০০ বেল।

ইতোমধ্যে এলাকার চাষিরা তুলার ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ততম রয়েছে। অধিকাংশ গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার তুলার বাম্পার ফলন হবে বলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বোর্ডের কর্মকর্তারা ভালো ফলনের আশায় চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে ক্ষতিকর তামাক আবাদ পরিহার করে এলাকার প্রায় ৬শ চাষি এবার তুলার আবাদ করেছে।

উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের তুলাচাষি আমেরুল হক বলেন, চলতি মরসুমে তিনি তার ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড রুপালি-১ জাতের তুলা আবাদ করেছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এ জমি থেকে ১৪-১৫ মণ তুলা উৎপাদন হবে। তাতে লাভ হবে বিঘাপ্রতি ২০ -২৫ হাজার টাকা। চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড় গ্রামের তুলাচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার তার ৭ বিঘা জমিতে তুলার আবাদ করেছে, বিঘাপ্রতি ১৫ মণ করে তুলা উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা করছেন।

চুয়াডাঙ্গা জোনে প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল কবির জানান, চলতি বছরের এ জোনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও আশানুরূপ আবাদ হয়েছে। চাষিদের ভালোভাবে তুলা আবাদ করাতে ১০ লাখ টাকা উপকরণ ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ জোনের আওতায় ১৭টি ইউনিটের তুলাচাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যেভাবে তুলা গাছে ফুল ও কুড়ি এসেছে তা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ছড়িয়ে যাবে। তিনি নিজের ও দেশের প্রয়োজনে তুলাচাষ করার জন্য চাষিদের প্রতি আহ্বান জানান।