Untitled

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা ঈদগাপাড়ায় প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়া স্বামী সেলিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাধে সাংসারিক কলহ। পথের কাঁটা সরাতে ভোরে প্রথম স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কাপড় দিয়ে রশি বানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরের আড়ার সাথে স্ত্রীর লাশ ঝুলিয়ে স্বামী নাটক সাজান আত্মহত্যার।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের ঈদগাপাড়ার সেলিমের (৩৫) সাথে আইন্দিপুরের মনিরুলের মেয়ে নাজমার বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাদের সংসারে কন্যাসন্তান বিউটি (১২) আছে। অভারের সংসার দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে। এরই মাঝে নাজমার স্বামী সেলিম গ্রামের মৃত রবিউলের স্ত্রী ফুরকুন্নির (৩৫) সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত ৯ দিন আগে ফুরকুন্নির সাথে বিয়ে করেন তিনি। পরিবারের মাঝে অশান্তি নেমে আসে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে গণ্ডগোল হয়। সেলিম কয়েক দফা স্ত্রী নাজমাকে মারধর করেন। গতপরশু মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে গৃহবধূ নাজমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় কাপড়ের রশি বেঁধে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ নাজমার ভাই জিয়াউর মাথাভাঙ্গাকে জানান, নাজমাকে তার স্বামী সেলিম দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলো। গতপরশু মঙ্গলবার ভোরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক প্রচার করতে থাকে। আমি আমার বোন হত্যার বিচার চাই।

সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হুদা ও এসআই আনিচ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালমর্গে পাঠান। এ নিয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আপস-মীমাংসার চেষ্টা চালান। পুলিশকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতির তদবির চলতে থাকে। পুলিশ কোনো কথা আমলে না নিয়ে লাশ ময়নাতদন্তে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় গৃহবধূ নাজমার পিতার গ্রাম একই উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের আইন্দিপুরের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।