কানাডার পার্লামেন্ট ভবনে গুলি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কানাডার রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে এক সেনা নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীও পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রথমে পার্লামেন্ট ভবনের কিছু দূরে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে ওই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত এক সেনা আহত হয়। এর পর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারী দৌড়ে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে। গোলাগুলির পর পার্লামেন্ট ভবন সিল করে দেয় পুলিশ। কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার নিরাপদে পার্লামেন্ট ছেড়ে যান। এরপর স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় পুলিশ জানায়, বন্দুকধারীর গুলিতে এক সেনা নিহত ও একজন আহত হয়েছে। বন্দুকধারী নিজেও পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। পুলিশ বলছে, শুধু পার্লামেন্ট ভবনই নয়, গতকাল রাজধানী অটোয়ায় অন্তত তিনটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং সম্ভবত, বন্দুকধারীরা সংখ্যায় কয়েকজন। অটোয়া পুলিশ বলছে, তাদের ভবনটিও নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটার বার্তায় পুলিশ জানায়, অটোয়ার ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল, রিডিউসেন্টার এবং পার্লামেন্ট হিলে গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, কানাডায় সহিংসতায় ইসলামী জঙ্গিরা জড়িত বলে কোনো ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র তা জানাতে রাজি হননি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অটোয়ায় গুলির ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাঁজোয়া যানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ পার্লামেন্ট এলাকার চারপাশে টহল দিতে শুরু করে।ঘটনার পরপর পার্লামেন্ট ভবন এবং প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। পার্লামেন্টের ভেতরে থাকা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী তিন রাজনৈতিক নেতা হার্পার, মুলকেয়ার এবং ট্রুডু নিরাপদে আছেন বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওয়ার মেমোরিয়াল, পার্লামেন্ট হিলসহ তিনটি স্থানে বন্দুকধারীরা ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি করে। পার্লামেন্ট ভবনের আশপাশের ভবনগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পার্লামেন্ট ভবন এলাকায় এখনও কিছু বন্দুকধারী রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

পুলিশ আরও অন্তত তিন বন্দুকধারীকে খুঁজছে। সন্দেহ করা হচ্ছে তারা পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনার পর কানাডাজুড়ে সেনাঘাঁটিগুলোতে জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন এক সময়ে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটল যখন কানাডা সন্ত্রাসী তৎপরতার হুমকির কারণে মধ্যমমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে।