শৈলকুপায় আ.লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ভাঙচুর : গুলিবর্ষণ : আহত ১০

শৈলকুপা প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ি বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের এসআই এমদাদ ও ইতালি প্রবাসী বুলবুলসহ ১০ ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও দু রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার কায়সার টিপুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকদিন ধরে উভয়ের মধ্যে কাতলাগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এ নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় কাতলাগাড়ি বাজারে টিপু সমর্থক আবু মাস্টার ও জলিলের ওপর হামলা এবং পথের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের গতিরোধের ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, ফালা নিয়ে কাতলাগাড়ি বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাতলাগাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী সনদের তেলের দোকান, আমিরুল ও জামালের দোকানে হামলা এবং চরবাখরবা গ্রামের হামিমের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা গোয়ালবাড়ি এলাকা থেকে ইতালি প্রবাসী বুলবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়া হামলাকারীদের ইটের আঘাতে পুলিশের এসআই এমদাদ ও শর্টগানের গুলিতে ইউনুছ, মহির ও আমজাদসহ ১০ ব্যক্তি আহত হন। আহতদের শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

শৈলকুপা থানার ওসি ছগির মিঞা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সারুটিয়া ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও দু রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ১০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

Leave a comment