চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হক ফিলিং স্টেশনের নিকট দুর্ঘটনা : রোয়াকুলি গ্রামে শোকের ছায়া
আলমডাঙ্গা ব্যুরো/মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার হক ফিলিং স্টেশনের অদূরে আলমসাধু ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রোয়াকুলি গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য কামালের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনায় তার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ সড়কের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। প্রায় ১০ মিনিট পর পথচারীরা আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিলে তারা মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ডান পা ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে। অনেক খোঁজার পর থানা পুলিশ পা’টি উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে লাশ গ্রামে পৌছুলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তার মৃত্যের স্ত্রী কন্যা ও নিকট আত্মীয়দের আত্মচিৎকারে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের রোয়াকুলি গ্রামের মৃত ওয়াজ আলীর ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মুদিব্যবসায়ী কালাম (৪৮) বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গার এক আত্মীয়ের বাড়ি রওনা হন। পথিমধ্যে আলমডাঙ্গার বণ্ডবিলে হক ফিলিং স্টেশনের নিকট পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী আলমসাধু সামনে থেকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই কালামের ডান পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকেন। স্থানীয়রা জানায়, তিনি বাঁচাও বাচাঁও বলে চিৎকার করলেও কেউই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। প্রায় ১০ মিনিট পর কয়েকজন পথচারির আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা তাকে দ্রুত উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
গ্রামবাসী কালামের পরিচয় দিতে গিয়ে জানায়, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। বড় মেয়ে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজে অনার্সের ছাত্রী, ২য় মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী জুঁই (৮) ও ৩য় মেয়ে জবা (১)। শিশুকন্যা জবা তার পিতার আদর বোঝার আগেই তার প্রাণপ্রিয় পিতাকে হারালো। গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। আজ বুধবার সকাল ১০টায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।