দৌলতপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ : মামলা করা নিয়ে বিপাকে পরিবার

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন সংলগ্ন রাজশাহী জেলার বাঘা থানার পলাশীর চর এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ওই কিশোরী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এদিকে দু থানার সীমানা জটিলতায় মামলা করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ধষিতার পরিবারটি।

ধর্ষিতা ও তার পরিবার জানায়, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চামনাই কলেজপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছোট ভাই রহিদুল ইসলাম (৩২) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় একই গ্রামের দিনমজুরের কিশোরী কন্যার (১৩) সাথে গল্প করার কথা বলে বাড়ির বাইরে নিয়ে রহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮-১০ জন দুবৃর্ত্ত জোরপূর্বক মুখ বেধে তাকে অপহরণ করে পদ্মার চরের পলাশীর চর এলাকায় নিয়ে পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকরা তাকে পার্শ্ববর্তী ছিদ্দিক মণ্ডলের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। গত সোমবার বিকেলে কিশোরীর স্বজনরা খোঁজ পেয়ে পদ্মার চরের ওই বাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ধর্ষিতার পিতা জানান, পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে চামনা গ্রামে গত বছর বাড়ি করে বসবাস করছি। কিন্তু এখানে নদী ভাঙনের চেয়ে বড় ভাঙন আমার পরিবারে নেমে এলো। তিনি আরো জানান, থানায় মামলা করতে গেলে ওসি বলেন, বাঘা থানার মধ্যে ঘটনা ঘটেছে তাই মামলা সেখানে করতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একদিকে মামলা না করার জন্য অপরাধীরা হুমকি দিচ্ছে অন্যদিকে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছে।

দৌলতপুর থানার ওসি এনামূল হক জানান, ঘটনাস্থল বাঘা থানার ভেতরে হওয়ায় সেখানেই মামলা হবে। বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, অপহরণের পর এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার কথা শুনেছি তবে এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি। স্থানীয়রা জানান, ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে মামলা করা নিয়ে লুকোচুরি চলছে।