দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান চালক ও নিয়ন্ত্রকদের ভয়ঙ্কর রূপ?

পিতার মৃত্যুখবরে বাড়ি ফেরার পথে আলমসাধুচালক ও তাদের সহযোগীদের মারপিটে দু ভাইসহ আহত ৪

 

স্টাফ রিপোর্টার: পিতার মৃত্যুখবরে ঢাকা থেকে ফিরে দামুড়হুদায় শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান চালক ও তার সময় নিয়ন্ত্রকদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছেলে ডা. কামরুজ্জামানসহ ৪ জন। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডা. কামরুজ্জামানকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গার দিন মোহাম্মদ গতপরশু ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে দু ছেলে ঢাকা থেকে ডা. কামরুজ্জামান, সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্সের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান পূর্বাশা কোচযোগে রওনা হন। বেলা ২টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। মৃত্যুর খবরে মরহুমের শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য অন্যান্য আত্মীয়স্বজনও রওনা হন। কোটচাঁদপুর মহিলা কলেজের প্রভাষক রেজাউল, খুলনা টেলিগ্রাফের সাবেক কর্মকর্তা আশরাফ আলীসহ অনেকেই বেলা ২টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে অটোযোগে হোগলডাঙ্গায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। বাধ সাধে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধুচালক শামীমসহ অবৈধযানের সময় নিয়ন্ত্রক স্থানীয় আরিফুল, খালেকসহ তাদের লোকজন।

আলমসাধু নয়, অটো নিরাপদ। এ মন্তব্য করে ডাক্তার কামরুজ্জামানসহ অন্যরা অটোতে উঠতে গেলে আলমসাধু চালকদের সাথে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা রড দিয়ে ডা. কামারুজ্জামানসহ তাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় আলমসাধুচালক ও সময় নিয়ন্ত্রকেরা। এ হামলায় ডা. কামরুজ্জামান, তার ভাই আসাদুজ্জামান, কলেজশিক্ষক রেজাউল হকসহ ৪ জন আহত হন। আহতদের প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা চিৎলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩ জন হোগলডাঙ্গায় ফেরেন। ডা. রেজাউলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার ভাই আসাদুজ্জামান গতকালই সন্ধ্যায় দামুড়হুদা থানায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।