চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে পতিতার সংখ্যা ২৯৮ : অধিকাংশই ভ্রাম্যমাণ

 

খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গায় পতিতাবৃত্তি বেড়েছে, বেড়েছে পতিতার সংখ্যাও। এ তথ্য জানিয়ে একাধিকসূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গায় যখন পতিতালয় ছিলো তখন গণিকারা ছিলো গচ্ছিত। এখন? ছিটিয়ে ছড়িয়ে। ভ্রাম্যমাণ তো আছেই, বিভিন্ন মহলায় বাসাবাড়িতেও পতিতাবৃত্তি চলছে হরহামেশাই।

চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে পতিতার সংখ্যা কতো? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে পতিতাদের নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও বলেছে, চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে মোট ২৯৮ জন তালিকাভুক্ত পতিতা রয়েছে। তালিকার বাইরে পতিতার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার ডিআইসি প্রধান হাসিবুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চুয়াডাঙ্গায় পতিতাদের নিয়ে কাজ করছি আমরা। বিনোদনের পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এইডসসহ নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয় ।

সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ পতিতার সংখ্যা ১৩৩ জন। আবাসিক হোটেলে ৬৯ জন ও বাসাবাবাড়িতে ৯৬ জন নারী পতিতা বৃত্তি করছেন। এদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ রোগ প্রতিরোধের উপকরণও প্রদান করা হয়। তাছাড়া এদের আইনগত সহায়তাও প্রদান করছে সংস্থাটি। সংস্থার ডিআইসি প্রধান আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে এমন কিছু ব্যক্তির বাড়িতে পতিতা বৃত্তি হয় তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এরকম বাড়ির সংখ্যাও কম নয়। সে হিসেবে আমাদের তালিকার অনেক বেশি নারী পতিতাবৃত্তি করছে।

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ পতিতাদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে তাদের অধিকংশেরই জীবনচিত্র প্রায় অভিন্ন। স্বামী চলে গেছে অথবা মারা গেছে। প্রথমে নিকটাত্মীয় কর্তৃক নিপীড়নের পরই পথে নেমেছে তারা। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মুখে অণ্য তুলে দেয়াসহ জীবনের চাকা ঘোরাতেই তাদের অধিকাংশই এই পথে নেমেছে। ভ্রাম্যমাণ পতিতাদের অধিকাংশই সন্ধ্যার পর শহরের অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এদের অধিকংশই নৈশ প্রহরীদের ছত্রছায়ায় পতিতাবৃত্তি করে। বাসা বাড়িতে থাকে খোদ্দের জোগান দেয়ার মাসি বা গৃহকর্তা। বিশেষ কমিশনে এরা নানা প্রলোভনে কিশোরী থেকে শুরু করে কলেজপড়ুয়াদেরও পতিতাবৃত্তিতে নামিয়ে থাকে।