হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র আজিজুর রহমানের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান মণ্ডলের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর হরিণাকুণ্ডু থানার সামনে ব্রাশফায়ারে নিহত হন তিনি। হত্যার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও তার পরিবার বিচার পায়নি। পুলিশ ঘাতকচক্রকে শনাক্ত করতে না পারায় মামলাটি অপমৃত্যু হয়েছে।

নিহত আজিজুর রহমানের স্ত্রী বুলবুলি রহমান জানান, ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে থানার সামনের একটি দোকানে বসে ছিলেন তার স্বামী। সেখানে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান বিএনপি সভাপতি আজিজুর রহমান মণ্ডল। হত্যার পর পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (জনযুদ্ধ) হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। এ ঘটনায় তার ভাই ইয়াকুব হোসেন মণ্ডল বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ না থাকায় পুলিশ মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠায়। সিআইডি ২ বছর তদন্ত করে হত্যার আলামত উদ্ধার করতে না পেরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন তার স্ত্রী বুলবুলি। আদালতের নির্দেশে আবারো মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. এমএ মজিদ জানান, ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান হত্যা মামলার কোনো বিচার হয়নি। এ জন্য হতাশ হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। একের পর এক বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। উপজেলা বিএনপি সভাপতি দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে প্রকৃত খুনিদের বিচারের দাবি জানান। চাঞ্চল্যকর এ হত্যামামলা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখন আদালতের এখতেয়ারে রয়েছে।

এদিকে আজিজুর রহমান মণ্ডলের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ও পৌর বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালোপতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, সকাল ১০টায় মরহুমের নিজ গ্রাম পার্বতীপুরে কবর জিয়ারত, শোক র‌্যালি, সকাল ১১টায় আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল।