বসকে চেয়ার তুলে মারতে যাওয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারর কাণ্ড

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার বিশ্বাস ও একই অফিসের জুনিয়র অডিট অফিসার মাজেদ হোসেনের মধ্যে দির্ঘদিনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও পূঞ্জিভূত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটেছে। গেজেট রেজিস্টারে পোষ্টিং দেয়াকে কেন্দ্র করে গত বুধবার দুপুরে এ দু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম, একে অপরকে গালি দেয়া এমনকি চেয়ার তুলে মারতে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। দুজনই দিয়েছেন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত বেশ কিছু কর্মচারী দুজনকেই দায়ী করেছেন। বিষয়টি উপজেলা ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষে নির্বাহী অফিসারের কাছে এ সংক্রান্তে নালিশ জানানো হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে করা সম্ভব হয়নি বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় কর্মরত উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের সাথে একই অফিসের জুনিয়র অডিট অফিসার খন্দকার মাজেদ হোসেনের মধ্যে গত বুধবার দুপুরে সরকারি গেজেট অডিট রেজিস্টারে একটি পোস্টিং দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়সহ গালিগালাজ। এমনকি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে জুনিয়র অডিট অফিসার চেয়ার তুলে মারতে যেতেও পিছু পা হননি। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবরক্ষণ অফিসের সিনিয়র অডিট অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি না ঠেকালে হয়তো রক্তারক্তি হয়ে যেতো। তবে ভুল উভয়েরই।

এ বিষয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার বলেন, গত বুধবার একটি পোস্টিঙের বিষয়ে আমি একজন কর্মকর্তা হিসেবে ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলেছি আপনি তো কাজ জানেন না এটাই আমার অপরাধ। একথা বলার সাথে সাথে সে আমাকে মালোয়ানের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে আমাকে চেয়ার তুলে মারতে আসে। ওই সময় আমার রুমে থাকা সিনিয়র অডিট অফিসার তাকে চেপে ধরে বাইরে নিয়ে যান। জুনিয়র অডিট অফিসার মাজেদ হোসেন পয়সা ছাড়া কাজ করতে চান না। এটা আপনি উপজেলায় কর্মরত-কর্মচারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে এর সত্যতা পাবেন। তিনি ইতঃপূর্বে যে কয়টি স্টেশনে কাজ করেছেন প্রতিটি স্টেশনেই বসদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তিনি ১৬ হাজার টাকা বেতন পান। জিপি ফান্ডেই কাটান হাজার টাকা। তার ছেলে ঢাকায় লেখাপড়া করে। এতো টাকা কোথা থেকে আসে।

এ বিষয়ে জুনিয়র অডিট অফিসার মাজেদ হোসেন বলেন, আমি তাকে আগে গাল দিইনি। তিনিই আগে আমাকে ….. বাচ্চা বলে গাল দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাজির হামিদুল ইসলাম বলেন, একজন অফিসার হিসেবে তার অফিসের কর্মচারীকে এরকম গালি দেয়াটা যেমন ঠিক হয়নি তেমনি কর্মচারী হয়ে বসকে চেয়ার তুলে মারতে যাওয়াও ঠিক হয়নি। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর দুজনকে আলাদা আলাদাভাবে ডেকে শুনেছি। দু-একদিনের মধ্যেই এর সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।