স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিলেকশন কমিটি গঠনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কমিটি সংক্রান্ত সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার যাবতীয় তথ্য যশোর শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিচালনা কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে গত ২৯ আগস্ট নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় আ.লীগ ও যুবলীগের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় রশি টানাটানি। ফলে ৩০ আগস্ট ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের দিন ধার্য থাকলেও একটি পক্ষ তা করতে দেয়নি। শেষের দিন নিজেদের পছন্দের বেগমপুর গ্রামের ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, আজিজুল হক মুন্সি, বাবুল সরকারের স্ত্রী ফাইয়ামা খাতুন, যদুপুর গ্রামের আইয়ুব আলী এবং ঝাঁঝরি গ্রামের রফিকুলকে দিয়ে পক্ষটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। অপরদিকে সদস্য সচিবের সহযোগিতায় নির্বাচনে আর কাউকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেয়নি পক্ষটি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য থাকলেও একটি পক্ষ পকেট কমিটি গঠন করার জন্য নিজেদের পছন্দের ৫ অভিভাবক সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়। বিধিবাম যদুপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম আব্দুর রহিমের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব, সভাপতি ও প্রিসাইডিং অফিসারকে বিবাদী করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেয়ায় আরজিতে বাদী শাহ আলম সিলেকশন কমিটি গঠিত হতে যাওয়ার বিরুদ্ধে অস্থায়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করেন। গত ২৯ সেপ্টম্বর চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন।
সূত্র বলেছে, পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে। এদিকে বাদীপক্ষ আদালতের নির্দেশনাসহ যাবতীয় তথ্যের কপি যশোর শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন জটিলতায় একাধিক মামলা মোকাবেলা করে আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি মহল অস্বচ্ছ কর্মকাণ্ড করায় মামলার সম্মুখিন হয় বলে সচেতন মহল মনে করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝামেলামুক্ত না থাকলে শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। যার প্রভাব পড়ে কোমলমতি শিশুদের মনে। বিষয়টি সকলের ভাবা দরকার বলে মনে করছে সচেতন এলাকাবাসী।