আলমডাঙ্গা টেকপাড়া-পাঁচলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকার চুম্বন

 শিশু শিক্ষার্থী দেখে ফাঁস করায় উত্তেজনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু শিক্ষক বিদ্যালয়েরই সিঁড়ির মধ্যে চুম্বন আলিঙ্গনে মেতে সচেতন অভিভাবকদের রোষানলে পড়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার টেকপাড়া-পাঁচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কানিজ আফরোজ ও খলিলুর রহমান সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত। একই বিদ্যালয়ের দু শিক্ষকের আলাপচারিতা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলেও একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় তা এতোদিন বিতর্কের সৃষ্টি করেনি। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়েরই সিঁড়ির মধ্যে দুজন আলিঙ্গনে মেতে থাকা অবস্থায় কোমলমতি এক শিক্ষার্থী দেখে সকলকে জানিয়ে দেয়। অভিভাবকদের মধ্যে জানাজানি হলে উত্তেজনা চরমে রূপ নেয়। একপক্ষ অবশ্য ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালালেও অনেকেই বিদ্যালয়ের সিঁড়ির মধ্যে চুম্বন দেয়াকে খাটোভাবে দেখতে নারাজ। তাদের দাবি, বিদ্যালয়ের সিঁড়ির মধ্যে ওভাবে মেলামেশার দৃশ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। সে কারণেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

ঘটনার পরপরই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একপক্ষ চাপাচাপি করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গোটা এলাকায় মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিকদের ম্যানেজেরও চেষ্টা চলে। কানিজ আফরোজের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কিছুই জানি না। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি অনর্থক দুর্নাম রটাচ্ছে। শিক্ষক খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের কয়েকজন অবশ্য বলেন, শিক্ষিকা দোতলায় উঠছিলেন। শিক্ষক নামছিলেন। মাঝে নির্জন স্থানে শিক্ষক খলিলুর রহমান চুম্বন দেন। এ দৃশ্য শিশু শিক্ষার্থী দেখে তা ফাঁস করে না দিলে কি কেউ টের পেতো?