মেহেরপুর চাঁদপুরে আটক শাহ জামালই দেবা ৪৪৫ : অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের মুজিবনগর ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা এলাকায় কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চিরকুটে ‘লেখা দেবা ৪৪৫’র পরিচয় মিলেছে। রোববার সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে যে শাহ জামালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো সেই-ই দেবা বলে জানায় পুলিশ। রাতে তার স্বীকারোক্তিতে তার নিজ বাড়ি থেকে একটি এলজি সাটারগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হোসেন চৌকিদারের ছেলে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান জানান, শাহ জামাল চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের চাঁদাবাজচক্রের মূলহোতা। দেবা নামে সে চাঁদাবাজি করতো। তার নামে মুজিবনগর ও পার্শ্ববর্তী দামুড়হুদা থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় মেহেরপুর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিলো। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শাহ জামাল তার বাহিনী ও চাঁদাবাজির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। নিজ শয়নকক্ষের শোকেসের মধ্যে অস্ত্র ও গুলি রয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। সে মতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। শাহ জামালই দেবা ৪৪৫ বলে জানান তিনি।

মুজিবনগর উপজেলার রতনপুর ঢোলমারী টুপলার বিলে তিন সন্ত্রাসীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। লাশের পাশ থেকে দেবা ৪৪৫ লেখা চিরকুট উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। একইভাবে গত ১৯ জুন মুজিবনগর উপজেলার শেষ সীমানার পার্শ্ববর্তী দামুড়হুদা উপজেলার গুইচারা মাঠে গোপালপুর গ্রামের চরমপন্থি রিজনের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রিজনের মরদেহের কাছ থেকে দেবা ৪৪৫ লেখা চিরকুট উদ্ধার করেছিলো দামুড়হুদা থানা পুলিশ। দুটি ঘটনা থেকে পুলিশ দেবার বিষয়ে গভীরভাবে খোঁজখবর নেয়া শুরু করে। প্রথম থেকেই দেবার পরিচয়ের বিষয়ে পুলিশের সন্দেহের আঙুল ছিলো গ্রেফতার হওয়ার শাহ জামালের দিকে। তবে সে আত্মগোপনে থেকে চতুরতার সাথে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো। এদিকে শাহ জামাল গ্রেফতার ও দেবা পরিচয় উন্মোচনে এলাকার ভুক্তভোগীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উল্লেখ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই আক্তারুজ্জামান গত রোববার বিকেলে চাঁদপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শাহ জামাল ওরফে দেবা ৪৪৫ কে গ্রেফতার করেছিলেন।