স্টাফ রিপোর্টার: দাউদ হায়দার ও তসলিমা নাসরিনের পথ ধরেই হাঁটছেন লতিফ সিদ্দিকী। বিতর্কিত হয়ে প্রথম দুজনের মতোই আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। দীর্ঘদিন পর দাউদ হায়দার ও তসলিমার রাস্তায় নেমেছেন পদচ্যুত এ মন্ত্রী। প্রশ্ন উঠেছে তার পরিণতিও কি তাদের মতো হবে? ইতোমধ্যে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন লতিফ। একটার পর এক মামলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। সমনও জারি হয়েছে বেশকটি। দেশে ফিরলে বিমানবন্দর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। সরকার পক্ষের কেউই তার পক্ষে মুখ খুলছেন না। নারায়ণগঞ্জে তার মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। আগের বিতাড়িত এ দু ব্যক্তির মতোই লতিফ সিদ্দিকীও শেষ পর্যন্ত বিদেশেই থেকে যাচ্ছেন- এমন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে সব মহলে। তবে পূর্বসূরিদের মতো প্রাথমিক আশ্রয় স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভারতকে।
কোলকাতায় আসার খবর ফাঁস হতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গোপনে শহর ছাড়লেন অপসারিত টেলি ও যোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সোমবার ভোরেই তিনি কোলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেল ছেড়ে চলে যান। জানা গেছে এই মুহুর্তে তিনি কোলকাতায় নেই। তবে কোথায় গেছেন তাও জানা জায়নি। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি দিল্লি যেতে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, দিল্লিতে তিনি ভারতের প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগের জন্য দরবার করতে চাইছেন। ইচ্ছে রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করারও।
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরে যেতে চান, তবে এ ব্যাপারে দল এবং সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
সোমবার এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, দল এবং সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য তিনি অনুতপ্ত, কিন্তু যে বক্তব্যের জের ধরে বাংলাদেশে তাকে নিয়ে এই বিতর্ক শুরু, সেটা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই।
উল্লেখ্য, হজ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের পর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর রোববার মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়। লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে ভারতের কোলকাতায় অবস্থান করছেন।