ডাকাতি : পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা জরুরি

 

ঈদের আগে পরে সড়ক ডাকাতি বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার পথে কয়েকজন গরু পালনকারী ৫টি গরুসহ তাদের কাছে থাকা প্রায় ২ লাখ টাকা অভিনব কৌশলে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। ঘটনাটি ঘটে ঈদের পূর্ব রাতে। এ ঘটনার জের কাটতে না কাটতে গতপরশু রাতে আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া নৈশকোচ রয়েল এক্সপ্রেসসহ ২টি ট্রাকে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়েছে। ঈদের একদিন আগে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়ে একই পরিবহন সংস্থার নৈশকোচ ডাকাতির কবলে পড়ে। অপরদিকে দর্শনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে একটি পরিবহন ডাকাতির কবলে পড়ে। অবশ্য এ ঘটনাটি পত্রপত্রিকায় তেমন প্রকাশ পায়নি। গুঞ্জন রয়েছে, এ নৈশকোচের এক নারী যাত্রীকে নামিয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এরপরও কি বলতে হবে এবারের ঈদ মরসুমে সড়ক ডাকাতি রোধে পুলিশের দায়িত্বশীলতা সন্তোষজনক?

 

প্রতিরাতেই যেখানে টহল পুলিশ থাকে, যেদিন আলমডাঙ্গার বণ্ডবিলে থাকলো না সেদিনই সেখানে ডাকাতদল তাণ্ডব চালালো। এ অভিযোগ অবশ্যই গুরুতর। একের পর এক ডাকাতি যেমন পুলিশকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ারই যে তাগিদ, তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। ডাকাতির পর ডাকাত ধরার কাজে ব্যস্ত হওয়ার চেয়ে ডাকাতির আগেই তা প্রতিরোধ করে ডাকাত সদস্য ধরে আইনে সোপর্দ করতে পারাটাই মূলত পুলিশের দায়িত্ব। যদিও অপ্রতুলতা। এরপরও নিয়মিত টহলের স্থানগুলোতে হঠাত পুলিশের অনুপস্থিতি আর ডাকাতদলের অপতৎপরতার অভিযোগকে খাটো করে না দেখে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেমন জরুরি, তেমনই খবর দেয়ার পরও পুলিশ কেন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছুলো না, তাও খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।