দামুড়হুদা দশমী গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগের আক্ষেপ

 

তাছির আহমেদ: দামুড়হুদা উপজেলা শহরের দশমী গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চারদিকে। দীর্ঘদিন ধরেই এ জনদুর্ভোগ। রাস্তার ওপর বৃষ্টির পানি ও বাড়ির ময়লা-আবর্জনায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এলাবাসীর মনে দেখা দিয়েছে আক্ষেপ। এখানে নেই কোনো বিদ্যুত পোলে আলোর ব্যবস্থা, নেই সকল রাস্তা পাকা, নেই ড্রেন ব্যবস্থা। উপজেলা শহরে এ সকলের সুব্যবস্থা কবে হবে? এলাকাবাসী বলছে, তা-কে জানে! আর কতোকাল ভোগ করবো এ দূরবস্থা।

গত শনিবার এক পশলা বৃষ্টি হয়। ঠিক অফিস শুরুর সময়য় ঘটে যাওয়া বৃষ্টি থামলে এলাকাবাসী ছোটে উপজেলা পরিষদের দিকে। কিন্তু এ যাত্রায় তাদের থমকে দাঁড়াতে হয় দশমী গ্রামের ভেতর মোমিন ডাক্তারের বাড়ির পাশের রাস্তায়। কারণ দশমী মসজিদের ওদিক থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে নেমেছে রাস্তার ওপর স্রোত। এ পানির স্রোত চলে নাকি বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু সমগ্র এলাকাবাসীর মহাবিপদে পড়তে হয় উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের অদূরে ঠিক গ্রামীণফোন টাউয়ারের সামনে। এখানে দেখা যায়, রাস্তার দু ধারে উঁচু আর মাঝখানে নিচু। ফলে বৃষ্টির কাদাপানি দীর্ঘক্ষণ আবদ্ধ হয়ে থাকে এখানে। পড়তে হয় এলাকাবাসীর মহাবিপাকে। কারো কারো দেখা যায়, পায়ের জুতো খুলে হাতে নিতে, কেউ কেউ অপেক্ষা করে রিকশা-ভ্যান, সাইকেল অথবা মোটসাইকেল নিয়ে। এ সময় এলাকাবাসী জুবায়ের রহমান বলেন, আমাদের এ দুর্ভোগ কেউ দেখেন না। আমরা দামুড়হুদা উপজেলা শহরে বাস করি অথচ রাস্তাঘাটের এ করুণ অবস্থা।