দু থানার ঠেলাঠেলি : ছিনতাই মামলা নেয়নি পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দির আওয়ামী লীগ নেতার দীর্ঘশ্বাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: সরোজগঞ্জ থেকে বাড়ি হাড়োকান্দি ফেরার পথে ৯০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দীর্ঘসময় ধর্না দিয়েও মামলা করতে পারেননি মিনহাজ উদ্দীন। তিনি দীর্ঘসময় ধরে হয়রান হয়ে শেষ পর্যন্ত মামলা করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও একটি মামলা রুজু করতে পারলাম না’।

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাজ উদ্দীন গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সরোজগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি হাড়োকান্দি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঝিলখালী গ্রামের অদূরে তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বলে অভিযোগ করে বলেন, ছিনতাইকারীরা রাস্তার পাশের একটি গাছে বেঁধে কাছে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনি দুজনকে চিনতে পেরেছেন বলেও জানান। ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে তিনি ঘটনার রাতেই পুলিশসহ সাংবাদিকদের জানান। পরদিন মামলা দায়েরের জন্য আলমডাঙ্গা থানায় হাজির হন। তিনি বলেছেন, আলমডাঙ্গা থানায় প্রায় সারাদিন বসে থাকার পর জানানো হয়- ঘটনাস্থল চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মধ্যে, সেহেতু মামলাটি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় রুজু করতে হবে। এ কথা শুনে তিনি সদর থানায় হাজির হন। হাতে এজাহার। সদর থানা থেকে তাকে জানানো হয়- ঘটনাস্থল আলমডাঙ্গা থানার মধ্যে, সেহেতু মামলাটি আলমডাঙ্গা থানাতেই হবে।

ঘটনাস্থল নিয়ে দু থানার ঠেলাঠেলিতে হতাশ মিনাজ উদ্দীন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন- আলমডাঙ্গা থানায় দীর্ঘসময় বসিয়ে রেখে মামলা না নেয়ায় থানার ওসিকে নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, মিনহাজ উদ্দীন হাড়োকান্দি গ্রামের শিশু ভুন্দি হত্যা রহস্য উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আলমডাঙ্গা থানার ওসির বিরাগভাজন হয়েছেন। সে কারণেই কি আলমডাঙ্গা থানার ওসি মামলা নেননি? পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতনমহল।