স্টাফ রিপোর্টার: জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের জন্য টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য আলাদা অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি। টেস্ট দলের নেতৃত্বে বহাল থাকছেন মুশফিকুর রহীম। তার ডেপুটি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। আর ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে মাশরাফি মর্তুজাকে। তার ডেপুটি করা হয়েছে তামিম ইকবালকে। গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের সভা থেকে বের হয়ে মঞ্জুর কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সপ্তাহে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছিলেন, টেস্টের নেতৃত্বে মুশফিকই থাকবেন। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়কের কথা চিন্তা করছি আমরা। মাশরাফি বর্তমানে এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন থেকে রঙিন পোশাকে জাতীয় দলের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। অক্টোবরের দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই নতুন দায়িত্ব পালন করবেন মাশরাফি। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরও তিনি একই দায়িত্বে বহাল থাকবেন কি-না তা এখনো নিশ্চিত করেনি বোর্ড। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। আর সহ-অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। সফরে বাকি দিনগুলোতে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। সুস্থ হয়ে ওঠার পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে ইউরোপ সফরে (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড) নেতৃত্ব ফিরে পান মাশরাফি। অক্টোবরে দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও নেতৃত্বে ছিলেন দেশসেরা এ পেসার। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই চোট পান মাশরাফি। ৪-০ ব্যবধানে জেতা সেই সিরিজে বাকি ম্যাচগুলোতে আবারো নেতৃত্ব দিতে হয় সাকিবকে। পরে ৩১ ডিসেম্বর সাকিবকে অধিনায়ক ও তামিম ইকবালকে সহঅধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিবি।
২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যর্থতার পর নেতৃত্ব হারান সাকিব ও তামিম। তাদের জায়গায় আসেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরে সহ-অধিনায়কত্ব হারান মাহমুদুল্লাহ। ক্রিকেটে চলতি বছরে মোটেও ভালো কাটছে না বাংলাদেশের। তাই টেস্ট ও ওয়ানডেতে আলাদা নেতৃত্ব বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। তার অংশ হিসেবেই আবার নেতৃত্বে ফিরলেন মাশরাফি-সাকিব। এ পর্যন্ত ৭টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। এতে ৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আর হেরেছে ৪টিতে। আর ৩৭টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দেন মুশফিক। এর ১১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ আর হেরেছে ২৪টিতে। টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকছে মুশফিকই। আর এ সংস্করণে সহঅধিনায়ক করা হয়েছে তামিম ইকবালকে।