রেললাইনের পাশ থেকে বালি উত্তোলন : মুন্সিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

কবিখালর এনামলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অবৈধভাবে রেললাইনের পাশের জমিতে শ্যালোমেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগে গতকাল রোববার বালিখোর ব্যবসায়ীর এক কর্মচারী কবিখালীর এনামুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার খুদিয়াখালীর বালিখোর দু ভাই ইউসুফ ও গাজি অবৈধভাবে উত্তোলিত বালিমহলে গতকাল অভিযান পরিচালনাকালে শ্যালোমেকানিক মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে পালালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, রেললাইন ধসের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও উপজেলার খুদিয়াখালীর দু ভাই ইউসুফ আলি ও গাজী মুন্সিগঞ্জ গড়গড়ির বালির গর্ত নামক মাঠে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছিলো। রেলাইনের ক্ষতির আশঙ্কায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার বালি উত্তোলন বন্ধ করতে নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামানকে লিখিত জানান। তিনি গতকাল এক অভিযান চালান অবৈধ বালিমহলে। সে সময় বালি উত্তোলনকাজে নিয়োজিত শ্যালোমেশিনের মালিক টেংরামারী গ্রামের ইউনুস আলি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে বালু মহলের কর্মচারী কবিখালী গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে এনামুলকে গ্রেফতার করেন। ওই সময় সংবাদ পাঠালেও ব্যবসায়ী দু ভাই ঘটনাস্থলে যাননি। পরে সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এনামুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। পুলিশ এনামুলকে গ্রেফতার করে গতকাল আলমডাঙ্গা থানা কাস্টডিতে রাখেন। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করা হলে আজ সোমবার তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালদত পরিচালনাকালে সাথে ছিলেন ভূমি অফিস সহকারী তরিকুল ইসলাম ও এসআই পিয়ার আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স।