চুয়াডাঙ্গা জেলা বাশিসের সম্মেলন অনুষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব সেলিম ভূঁইয়া

 

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত না হলে জানুয়ারি থেকে বৃহত্তর আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে বাড়তি টাকা লাগবে না, বরং সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে আরো টাকা পাবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তা বুঝতে পারেন না। তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়কে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আজ হোক কাল হোক সরকারকে করতেই হবে। বাংলাদেশের সর্ববৃহত পেশাজীবী সংগঠন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। এ জোটের নেতৃবৃন্দ সমবেত হলে ঢাকার রাজপথ বন্ধ হয়ে যাবে। বেসরকারি স্কুল-কলেজ মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ এবং ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত করা না হলে ১ জানুয়ারি হতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে।’ কথাগুলো বলেছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার ত্রৈ-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘যখনই এমপিওভুক্তির জন্য নন-এমপিও শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন, তখনই তাদেরকে শান্ত করার জন্য সরকার বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের কথা বলে। এবারও সেই সুরই দিচ্ছেন তারা। এমনিতে হবে না। আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এমপিওভুক্তি আদায় করে নিতে হবে।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্প ও বণিক সমিতি মিলনায়াতনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাশিস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মমহাসচিব জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাওলানা দেলওয়ার হোসেন, বাশিসের প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু অজিত কুমার সরকার, বাকশিস কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাশিসের সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাবেক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক অর্থসচিব হাজি খাইরুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলায়াত করেন আলী নাসের, গীতাপাঠে ছিলেন দিলিপ কুমার অধিকারী।

স্বাগত ভাষন দেন সংগঠনের সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম। অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ছালেহ, হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হাসান, গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদ, পাঁচলিয়া জামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী, পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী, সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা প্রমুখ। সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি আদায় করতে হলে শক্তিশালী সংগঠন প্রয়োজন। সংগঠনবিহীন কোনো পেশাজীবী সংগঠন তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারে না। অনুষ্ঠানের অতিথিদের আসন গ্রহণ করার পর শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ফজলুর রহমানকে সভাপতি, রাশিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, খাইরুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও মজিবুল হককে অর্থসচিব করে জেলা শিক্ষক সমিতির ৬৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া নূর মোহাম্মদকে সভাপতি, নূর হোসেনকে সম্পাদক ও জাকিরুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বাশিস কমিটির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালানা করেন অধ্যাপক শেখ সেলিম, রউফুন নাহার রিনা, নুর হোসেন ও খাইরুল ইসলাম।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) মেহেরপুর জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর পৌর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজি আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাও. মো. দেলওয়ার হোসেন, বাশিসের উপদেষ্টা খাজা নাজিমউদ্দিন, বাশিসের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।