রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ : গ্রেফতার এড়াতে জামায়াত-শিবিরের অনেকেরই গাঢাকা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জামায়াতের ২১ নেতাকর্মবিরুদ্ধে মামলা রুজু

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমানসহ জামায়াতের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূইয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামি হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের, উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মনিরুল আলম মুকুল, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাও. আব্দুস সাত্তার, হাউলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির আবুল বাশার, জামায়াতকর্মী শ্যামপুরের আব্বাস উদ্দিন, দামুড়হুদার কাবিল হুজুর, কোমরপুরের আসাদুল হক, একই গ্রামের সাইদুল, কুড়ুলগাছির মোজাম্মেল হক, সদাবরির হাফেজ আসাদুল ইসলাম, বুইচিতলার মোস্তফা বিশ্বাস, একই গ্রামের নাসির উদ্দিন, লোকনাথপুরের একরামুল হক, জয়রামপুর কলোনিপাড়ার হাজি পল্টু মিয়া, আলাউদ্দিন ও গাতিরপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা মেম্বার।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ১৮ মে সন্ধ্যায় দামুড়হুদার গুলশানপাড়াস্থ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনের নিজ বাসার দোতলায় জামায়াতের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলসহ এলাকায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ পরিচালনার লক্ষ্যে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল ওই বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির সীমানা পাঁচিল টপকে অন্যান্য আসামি পালিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন। তার বাসা তল্লাশি করে দুটি শাটারগান, ৪টি বন্দুকের তাজা গুলি, ৫টি ককটেল, জেহাদি বইসহ শতাধিক লিফলেট উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শরীফুল আলম মিল্টনকে আটক করা হয় এবং ২১ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটির অনুমতি পাওয়ার পর ওইদিনই দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের এবং দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে জামায়াতের ২১ নেতাকর্মীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাভের পর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেফতার এড়াতে অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।