চুয়াডাঙ্গার নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হককে আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনাসভায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী ও নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা বিপ্লব গোস্বামী এ সময় বলেন, বিচারকরা ভালো লেখাপড়া না জানলে ভালো বিচারক হতে পারবেন না। দ্বিতীয় প্রজন্মের বিচারক বর্তমান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লেখাপড়ার চেষ্টা করেন। তিনি একজন ভালো বিচারক। তিনি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হককে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতিকে ধন্যবাদ জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহাজাহান মুকুলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, মোল্লা আব্দুর রশিদ (জিপি), শামসুজ্জোহা (পিপি), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম ইমদাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন ও নুরুল ইসলাম। সিনিয়র আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিউর রহমান ও আবুল বাশার।

সংবর্ধনার জবাবে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের সু-সম্পর্কটাই বড় ভূমিকা রাখে। আমি আশা করবো বিচার ব্যবস্থার মান বজায় রাখতে। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়। চুয়াডাঙ্গার আদালতে যে পরিমাণ মামলা রয়েছে তাতে ৩/৪ গুণ বিচারক দরকার। আইনজীবীদের সহযোগিতায় যেন দ্রুততার সাথে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারি। তিনি তার পিতার কথা মনে করে বলেন তার পিতা এক সময় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পিতার কাছে শুনেছেন জেলা জজ ও বার যদি সহযোগিতা করেন তাহলে বিচার কাজ পরিচালনায় সহজ হয়। বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ আইনের দখল আছে। তিনি জেলা হিসেবে খুবই ভালো একজন বিচারক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইয়ারব হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৈয়ব আলী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম, সহকারী জজ (চুয়াডাঙ্গা সদর) সরদার সাজ্জাদুর রহমান ও সহকারী জজ (জীবননগর) মো. সাজেদুর রহমান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামীকে ফুলের বুকেট উপহার তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি শহিদুল হক ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হককে ফুলের বুকেট উপহার তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্মসম্পাদক তালিম হোসেন। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাজি আকসিজুল ইসলাম রতন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মমতাজ পারভীন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি হলে পদটি শূন্য হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হক বদলি হয়ে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন।